This Article is From Sep 03, 2019

ট্র্যাফিক পুলিশের পোশাকেই ক্যামেরা! আইন ভঙ্গকারীদের ধরতে নয়া ব্যবস্থা

ট্র্যাফিক পুলিশের (Traffic Officials) পোশাকেই এবার থেকে থাকবে বডি ক্যামেরা। ট্র্যাফিক আইন ভাঙার মুহূর্ত রেকর্ড করে রাখা হবে ওই ক্যামেরায়।

ট্র্যাফিক পুলিশের পোশাকেই ক্যামেরা! আইন ভঙ্গকারীদের ধরতে নয়া ব্যবস্থা

ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবার থেকে আধিকারিকরা বডি ক্যামেরা পরবেন।

নয়াদিল্লি:

আইন ভঙ্গকারীদের (Traffic Rule Violators) ধরতে নয়া ব্যবস্থা। ট্র্যাফিক পুলিশের (Traffic Officials) পোশাকেই এবার থেকে থাকবে বডি ক্যামেরা (Body Camera)। ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করলে আইন ভাঙার মুহূর্ত রেকর্ড করে রাখা হবে ওই ক্যামেরায়। বর্ষীয়ান ট্র্যাফিক পুলিশ আধিকারিক নরেন্দ্র সিংহ বুন্দেলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘‘ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবার থেকে আধিকারিকরা বডি ক্যামেরা পরবেন। ৬২৬টি বডি ক্যামেরা আমরা ব্যবহার করতে চলেছি আইন ভঙ্গ ও চালান রেকর্ড করতে।'' সংশোধিত মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট সারা দেশেই চালু হয়ে গিয়েছে রবিবার থেকে। এখন থেকে আরও বেশি পরিমাণে জরিমানা দিতে হবে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে। যেমন, লাল আলোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য, ভুল জায়গায় পার্কিং, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চা‌লানো, বেশি গতিতে গাড়ি চালা‌নোর ক্ষেত্রে বিরাট অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে আগের তুলনায়।

বুন্দেলা জানিয়েছেন, ‘‘আমরা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য ৫৫৭টি চালান, লাল আলোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২০৭টি চালান, সিট বেল্ট না পরায় ১৯৫টি চালান, হেলমেট না পরায় ৩৩৬টি চালান, অতিরিক্তি গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য ৪২টি চালান ইস্যু করা হয়েছে।''

রবিবার দিল্লি পুলিশ ৩,৯০০ চালান ইস্যু করেছে।

নতুন আইনে সিট বেল্ট না পরলে ১,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে যা আগে ছিল ১০০ টাকা। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ব্যবহার করলে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এটা আগে ছিস ১,০০০ টাকা।

মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে ২,০০০ টাকা দিতে হত আগে। এখন দিতে হয় ১০,০০০ টাকা। অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের গাড়িকে জায়গা না ছাড়লেও ১০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে দিতে ৫,০০০ টাকা। আগে এক্ষেত্রে ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হত।

অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের ক্ষেত্রে অভিভাবক বা গাড়ির মালিককে দোষী সাব্যস্ত করে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সেই সঙ্গে তিন বছরের কারাবাস। পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশনও বাতিল হবে।

.