This Article is From Mar 11, 2019

নীরব মোদীকে গ্রেফতারের জন্য নথিপত্র চেয়েছিল ব্রিটেন, কোনও উত্তরই দেয়নি ভারত

গ্রেট ব্রিটেনের একটি আইনি দলও নীরব মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু, তার কোনও জবাবই আসেনি ভারতের পক্ষ থেকে।

নীরব মোদীকে গ্রেফতারের জন্য নথিপত্র চেয়েছিল ব্রিটেন, কোনও উত্তরই দেয়নি ভারত

গত সপ্তাহে পলাতক ভারতীয় হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে লন্ডনের রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল

নিউ দিল্লি:

গত সপ্তাহে পলাতক ভারতীয় হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে লন্ডনের রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। মুখে দাড়ি থাকলেও তাঁর ঔজ্জ্বল্য কোনওভাবে কমেনি। পরেছিলেন উটপাখির চামড়া দিয়ে তৈরি অতি মহার্ঘ একটি জ্যাকেট। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল ভারতের তরফ থেকে নীরব মোদীকে দেশে ফেরানো এবং তারপর তাঁর শাস্তির ব্যবস্থা করার সবরকম প্রচেষ্টাই চালানো হচ্ছে। তবে, এই দাবির একেবারে বিপরীত একটি দাবির কথা জানতে পারল এনডিটিভি। নীরব মোদী সংক্রান্ত বহু তথ্য চাওয়ার পরেও তা ব্রিটিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। জানা গেল, এমনকি, গ্রেট ব্রিটেনের একটি আইনি দলও নীরব মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু, তার কোনও জবাবই আসেনি ভারতের পক্ষ থেকে। লন্ডনের সিরিয়াস ফ্রড অফিসের পক্ষ থেকে এনডিটিভি জানতে পেরেছে যে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পক্ষ থেকে গ্রেট ব্রিটেনকে প্রথমবার মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স ট্রিটি (এমএলএটি) পাঠানো হয়।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির পর সিবিআই নীরব মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করার ঠিক পরপরই এটি পাঠানো হয়েছিল। 

"ভোটের জন্যই এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে", কেন্দ্রকে তোপ ফারুক আবদুল্লার

এর আগে, বিদেশে থাকা অপরাধীকে ধরার প্রক্রিয়াটি অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ ছিল। কিন্তু এই লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স ট্রিটি'র অর্থ হল, লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশনের কাছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সরাসরি ওয়ারেন্ট বা নোটিস পাঠাতে পারবে, যা, হাই কমিশন পাঠিয়ে দেবে ব্রিটিশ সরকারের কাছে। এরপরই ব্রিটিশ সরকারের কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় যে, নীরব মোদীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাগ্রহণ করার ক্ষেত্রে সিরিয়াস ফ্রড অফিসই সবথেকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারবে বলে তাদের ওপর এই দায়িত্বটি অর্পণ করা হবে।

এই সিরিয়াস ফ্রড অফিসই ভারতকে মার্চ মাসের মধ্যে জানিয়ে দিয়েছিল যে, নীরব মোদী রয়েছেন গ্রেট ব্রিটেনেই। ওই সময় ভারতীয় কর্তারা তাঁকে ইউরোপের অন্যান্য দেশ ও হংকং-এ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। ভারতকে নীরব মোদীর অবস্থান সম্পর্কে জানানোই শুধু নয়, সিরিয়াস ফ্রড অফিসের পক্ষ থেকে এই মামলাটিতে ভারতকে সাহায্য করার জন্য অর্থ জালিয়াতি মামলার বিখ্যাত আইনজীবী ব্যারি স্ট্যানকোম্বের ওপরেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। 

এনডিটিভি আরও জানতে পেরেছে যে, ব্যারি স্ট্যানকোম্বে ও তাঁর দল এই মামলাটিতে ভারতকে সাহায্য করার অভিপ্রায় নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চেয়েছিল। গত গ্রীষ্মে তাঁরা তিনটি চিঠি লেখেন এই সংক্রান্ত। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, একটি চিঠিরও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি ভারতের পক্ষ থেকে। শুধু তা-ই নয়। নীরব মোদীকে যাতে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়, সেই কারণে যথেষ্ট প্রমাণ জোগাড় করার জন্য ভারতেও আসতে চেয়েছিলেন ব্যারি স্ট্যানকোম্বে তাঁর দলকে নিয়ে। কিন্তু, তারপরেও ভারতের পক্ষ থেকে তাঁদের কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি।

আর এই সময়ের মধ্যেই তাঁর হয়ে লড়াই করার জন্য নীরব মোদী নিজের একটি আইনি দল তৈরি করে নেন।

বিদেশমন্ত্রক ও সিবিআইকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে এনডিটিভি'র পক্ষ থেকে ইমেল এবং ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।

.