কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলায় আইনি পদক্ষেপের সম্মতি দিয়েছে আম আদমি পার্টি।
হাইলাইটস
- কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলায় আইনি পদক্ষেপে সায় আপের
- কানহাইয়া কুমার বলেন, ‘‘আমি কোনও জাতীয়তা বিরোধী স্লোগান দিইনি।’’
- তিনি বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত মামলাটির বিচার হোক
শুক্রবার রাতে NDTV-র সঙ্গে কথা বললেন বাম নেতা কানহাইয়া কুমার। আম আদমি পার্টি কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলায় আইনি পদক্ষেপের সম্মতি দিয়েছে। কানহাইয়ার অভিযোগ, এবছর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি দেবেন্দর সিংহ-র প্রসঙ্গও তোলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের এই পুলিশ আধিকারিককে গত মাসে দিল্লি যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল তিন মুজাহিদিন জঙ্গিকে। কানহাইয়া অভিযোগ করেন, সরকার রাজনৈতিক খেলা খেলতে দেশদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ‘‘সময়টা দেখুন। লোকসভা নির্বাচনের আগে চার্জ শিট ফাইল করা হল (তিনি বিহারের বেগুসরাই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন)। আর এবার আমি বিহার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেশের লোকের জানা উচিত কীভাবে দেশদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। দেবেন্দর সিংহর বিরুদ্ধে কোনও দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হয়নি।''
কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা! দিল্লি পুলিশকে সবুজ সঙ্কেত দিল আপ সরকার
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি কোনও জাতীয়তা বিরোধী স্লোগান দিইনি।''
আপ কেন সম্মতি দিল সেবিষয়ে বলতে গিয়ে কানহাইয়া বলেন, ‘‘আপ কেন আইনি পদক্ষেপের সম্মতি দিল তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমি যা চাই, তা হল ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত বিচার। এবং এব্যাপারে আদালতে সিদ্ধান্ত হোক... টিভি স্টুডিওতে বিচারসভা বসিয়ে নয়।''
তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সম্মতি দেওয়ার পর কানহাইয়া কুমার দিল্লি সরকারকে ‘ধন্যবাদ' জানিয়ে টুইট করেছেন।

আপ বিধায়ক ও মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা NDTV-কে এবিষয়ে বলতে গিয়ে বিষয়টিকে বিচারাধীন বিষয় বলে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, দিল্লি সরকার নীতিগত কারণে এই ধরনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।
২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে কানহাইয়া কুমারের বক্তৃতার প্রশংসা করেছিলেন। তৎকালীন টুইটটিকেই যেন মর্যাদাহীন করল রাঘব চাড্ডার এদিনের মন্তব্য।
Heard Kanhaiya's speech many times. Amazing clarity of thought expressed wonderfully.He said wat most people have been feeling.God bless him
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) March 4, 2016
এদিকে জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদ জানিয়েছেন, ‘‘আমি মনে করি না বিষয়টা নিছক পদ্ধতিগত। দেশদ্রোহিতার মামলায় সরকারের অনুমোদন লাগে। দিল্লি সরকারের সন্নিযুক্ত কৌঁসুলী
জানিয়েছিলেন, অনুমতি দেওয়া হবে না। তাহলে পরিবর্তন হল কেন?''
জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি জনসভা আয়োজনের অভিযোগ তোলা হয়, যেখানে তাঁরা জাতীয়তা-বিরোধী স্লোগান তোলেন। সংসদ হামলার চক্রী জঙ্গি আফজল গুরুর ফাঁসির বর্ষপূর্তিতে ওই জনসভা আয়োজিত হয়েছিল।