This Article is From May 19, 2020

আমফান ও করোনা ভাইরাস— জোড়া চ্যালেঞ্জের মুখে দেশ, জানালেন শীর্ষ আধিকারিক

আমফান আতঙ্কের সমান্তরালে রয়েছে করোনার ত্রাস। ফলে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে পিপিই।

আমফান ও করোনা ভাইরাস— জোড়া চ্যালেঞ্জের মুখে দেশ, জানালেন শীর্ষ আধিকারিক

বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে আছড়ে পড়ার কথা আমফান‌ের।

নয়াদিল্লি:

দেশের সামনে এখন জোড়া চ্যালেঞ্জ— ঘূর্ণিঝড় আমফান ও করোনা ভাইরাস। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন ‘ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স'-এর মুখ্য এসএন প্রধান। আমফানের মোকাবিলায় কীরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানাতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে আছড়ে পড়ার কথা আমফান‌ের। ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষকে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। NDTV-কে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা বাংলা ও ওড়িশাকে জানিয়েছি, কড়া ভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে দুর্গতদের আশ্রয়স্থলে। যেখানে ১,০০০ লোক ধরে সেখানে মাত্র ৫০০ জনকে অনুমতি দেওয়া হবে।''
তিনি আরও জানাচ্ছেন, ‘‘এমনটা সম্ভবত এই প্রথম হচ্ছে। আমরা এই মুহূর্তে জোড়া চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কোভিড-১৯ ও সাইক্লোন।''

তিনি জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজ ভবনকে স্যানিটাইজ করে ত্রাণ শিবির হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২১টি দল পশ্চিমবঙ্গে ও ১৫টি দল ওড়িশায় পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানাচ্ছেন।

এসএন প্রধান জানাচ্ছেন, ‘‘সব মিলিয়ে ৪১টি দল মোতায়েন রয়েছে দুই রাজ্যে। তার মধ্যে সাতটি দল সংরক্ষণে রাখা হয়েছে।''

গত বছরের ফণীর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে গাছ কাটার সরঞ্জাম হাতে রাখা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন।

আমফান আতঙ্কের সমান্তরালে রয়েছে করোনার ত্রাস। ফলে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে আগে থেকেই মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে পিপিই।

গত দুই দশকে বঙ্গোপসাগরের উপর দ্বিতীয় সুপার সাইক্লোন হতে চলেছে। বুধবার যখন এটি রাজ্যে আঘাত করবে, আমফানের গতি থাকবে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।

.