This Article is From Nov 23, 2019

চমকের পর চমক, মহারাষ্ট্রে শপথ গ্রহণের পরেই 'নিখোঁজ' ৫ বিধায়ক

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের শপথ গ্রহণের পর এনসিপি চিফ শরদ পাওয়ার ওয়াই বি চহ্বন সভাগৃহে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। খবর, সেখানে খোঁজ মেলেনি ছয় বিধায়কের।

আচমকা উপস্থিত হন ধনঞ্জয় মুণ্ডে

মুম্বই:

চমকের পর চমক দিয়ে খবরের শিরোনামে মহারাষ্ট্র। সরকার গঠনের আগে ছিল এক চমক। শপথ নেওয়ার আগে পর্যন্ত ঠিক ছিল, মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বে শিবসেনা-এনসিপি। শনিবার, সেই হিসেব পাল্টে সরকার গড়ল বিজেপি-এনসিপি। তার পরেও চমক বাকি ছিল। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণের পর এনসিপি চিফ শরদ পাওয়ার ওয়াই বি চহ্বন সভাগৃহে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। দলের প্রতি কতজন অনুগত খতিয়ে দেখতে। খবর, সেখানেই খোঁজ মেলেনি ছয় বিধায়কের। পরে বৈঠকের মাঝে আচমকা উপস্থিত হন দলের প্রথম সারির নেতা ধনঞ্জয় মুণ্ডে। বাকি পাঁচজনের এখনও কোনও খোঁজ নেই। খবরে প্রকাশ, সম্ভবত তিনিও অজিত পাওয়ারের সঙ্গে দলবদলের খেলায় ছিলেন।

শপথ গ্রহণের পর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ারকে অভিনন্দন জানালেন মোদি

দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছয় বিধায়কের মধ্যে রয়েছেন অজিত পাওয়ারও। তবে খুব শিগগিরিই তাঁরা ফিরে আসবেন দলে। এপ্রসঙ্গে আরও খবর, এই পাঁচ বিদ্রোহী বিধায়ককে সম্ভবত দিল্লিতে নিয়ে এসেছে বিজেপি। অনেকে বলছেন, পাঁচ নয় মোট নয় জনকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লিতে। এঁরা দৌলত দারোদা, নড়হরি জিরোয়ার, সুনীল ভূসার, দিলীপ বাঁকার, অনিল পাতিল, নিতিন পাওয়ার, সুনীল শেলকে, বাবাসাহেব পাতিল এবং সঞ্জয় বনসন। এঁদেরকে ফেরাতে মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছে যান দলের অন্য কয়েকজন বিধায়ক। কিন্তু তাঁদের ফিরে আসতে হয় খালি হাতে। পরে শিবসেনা বিধায়কেরা ফিরে আসেন এনসিপি সদর দফতরে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন একজন নিখোঁজ দলীয় নেতাও।

প্রসঙ্গত, ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এনসিপি-র ৫৪ জন বিধায়ককে জয়ী করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এনসিপি। এখানে ১০৫ জন বিধায়ক নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে বিজেপি। ৫৬ জন বিধায়ক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শিবসেনা। শুক্রবার রাতেই শরদ পাওয়ার বলেছিলেন, এনসিপি এবং শিবসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে উদ্ধব ঠাকরকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠিত হবে।

পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন অজিত পাওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গে বলল শিবসেনা

এনসিপি প্রধান আরও জানান, সকালেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় কিছু সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁদের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিতে দেখেন তিনি। রাজেন্দ্র শিংনে, সন্দীপ ক্ষীরসাগর সহ ওই তিন বিধায়কের দাবি, মাঝরাতে অজিত পাওয়ারের থেকে ফোন আসে। সকাল সাতটায় রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারের বাড়িতে উপস্থিত থাকার জন্য।

আত্মপক্ষ সমর্থন করে বর্তমান এনসিপি রাজ্য সভাপতি রাজেন্দ্র শিংনে বলেন, রাজভবনে যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি জানতেন না, কী ঘটতে চলেছে। শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের সময় পুরো বিষয়টি তাঁর কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। খবর, এভাবে বিরোধীপক্ষে যোগদানের ফলে সরে যেতে হতে পারে এনসিপি-র ৩৮ বিধায়ককে।

মহারাষ্ট্রে ভোর ৫:৪৭ মিনিটে বাতিল হল রাষ্ট্রপতি শাসন

পাঁচ বিধায়কের নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কংগ্রেস তার বিধায়কদের ভোপালে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং শিবসেনার বিধায়কদের সম্ভবত সরিয়ে দেওয়া হবে জয়পুরে। এই দুটি রাজ্যই কংগ্রেসশাসিত।

.