Citizenship Amendment Act: দিলীপ ঘোষ হুমকি দিচ্ছেন, অভিযোগ করল শিবসেনার পশ্চিমবঙ্গ শাখা (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে খুনের হুমকির অভিযোগে মানবাধিকার কমিশনে শিবসেনা
- সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে গুলি করার হুমকি
- ১২ জানুয়ারি একটি সভামঞ্চ থেকে ওই হুমকি দেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি
কলকাতা: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) ইস্যুতে এবার সরাসরি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সংঘাতের পথে হাঁটল শিবসেনার পশ্চিমবঙ্গ শাখা। এ রাজ্যের বিজেপি সভাপতির (Dilip Ghosh) বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করল তাঁরা (Shiv Sena)। এর আগে ওই বিজেপি নেতা বলেন, সিএএ (Citizenship Amendment Act) বিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর সময় কেউ যদি জনসাধারণের সম্পত্তি নষ্ট করে তবে তাঁদের গুলি করে হত্যা করা উচিত। মানুষজনকে খুনের হুমকি দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, এই অভিযোগেই রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয় শিবসেনা। "আমি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ভয় ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছি। আমি মনে করছি যে একজন সাংসদ এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রবীণ নেতা হিসেবে তিনি যতটা ক্ষমতাবান তাতে চাইলেই এই হুমকি বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারেন। সুতরাং, পশ্চিমবঙ্গ শিবসেনার সদস্য হিসাবে আমি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। আরও অনেক সংগঠনের সঙ্গে আমরাও সিএএ'র বিরোধিতা করেছি। ফলে, দিলীপের খুনের হুমকিতে নিজের জীবনের সঙ্গে সঙ্গে সহকর্মী, সহযোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন আমি", বলেন পশ্চিমবঙ্গ শিবসেনার সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির দিলীপ ঘোষের করা খুনের হুমকির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানায় শিবসেনা। গোটা বিষয়ে যথাযথ তদন্ত শুরু করার জন্যে অনুরোধ জানিয়ে সেনা কমিশনকে লিখেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যে একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক। গত ১২ জানুয়ারি দিলীপ ঘোষ বলেন, নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনে নামা লোকজন যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে তাঁদের গুলি করে মারা উচিত।
"সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে উত্তরপ্রদেশের মতোই গুলি করে মারা উচিত": দিলীপ ঘোষ
"ওগুলো কি ওঁদের বাবার সম্পত্তি? কীভাবে ওঁরা করদাতাদের টাকায় নির্মিত সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে পারেন?", আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় বলেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি ওই বিজেপি নেতা আরও বলেন যে, "উত্তরপ্রদেশ, অসম ও কর্ণাটকের সরকার এই দেশবিরোধী পদক্ষেপ আটকাতে গুলি চালিয়ে একদম ঠিক কাজ করেছিল।"
আবার ১৯ জানুয়ারি দিলীপ ঘোষ বলেন,"পঞ্চাশ লক্ষ মুসলিম অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা হবে, প্রয়োজনে তাঁদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। প্রথমে তাঁদের নাম ভোটারদের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে. তখন আর দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়] তোষণের রাজনীতি করতে পারবেন না"।
‘‘ শাহিনবাগে কেউ মরছে না কেন?'': আবার বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে বিক্ষোভ চলছে। বিশেষত কলেজ ক্যাম্পাসে এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে ধর্মকে নাগরিক হওয়ার মাপকাঠি করা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে, ২০১৫ এর আগে, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসা তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে । কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক এবং তা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে।