দুদিনের সফরে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হবে ১৬ জন কূটনীতিবিদকে
নয়াদিল্লি: চলতি সপ্তাহেই জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) যাবে বিদেশি কূটনীতিকদের (Foreign Diplomats) একটি দল, সেখানকার পরিস্থিতি প্রথম খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যার বা ৩৭০ ধারা (Article 370) অবলুপ্তি এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্র্শাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর, এই নিয়ে দ্বিতীয় বিদেশি প্রতিনিধি দলের উপত্যকা সফর। এক পদস্থ আধিকারিক NDTV কে বলেন, “সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুদিনের সফরে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হবে ১৬ জন কূটনীতিবিদকে”। ইসলামিক কর্পোরেশনের রাষ্ট্রদূত, এশিয়ান, ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং ল্যাটিন আমেরিকার রাষ্ট্রদূতরা থাকবেন সেই প্রতিনিধি দলে। সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকদের নাম চূড়ান্ত করার জন্য দেশগুলিকে জানিয়েছে সরকার।
এখনও পর্যন্ত ৯ জানুয়ারি শ্রীনগরে যাবেন কূটনীতিবিদরা, সেখানেই কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁদের তথ্য দেবে সেনাবাহিনী। পরদিন, বিশিষ্টদের কথা বলাতে জম্মু নিয়ে যাওয়া হবে
“গণতন্ত্রের অপমান”, জম্মু ও কাশ্মীরে বিদেশী প্রতিনিধিদের সফর নিয়ে মন্তব্য শশী থারুরের
এক আধিকারিক জানান, “আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা খারিজ করতে চায় সরকার, এবং এ ব্যাপারে তারা আশাবাদী”। জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা সহ সেখানে ৫ অগস্ট থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ সহ বহু দেশ।
জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের পদক্ষেপ সংসদে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তার আগে সেখানে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাকে ঠিক থাকে, তারজন্যই জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ এবং ফোন পরিষেবা বন্ধ ও রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা হয়েছে।
ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যাহ্নভোজ অজিত দোভালের, আমন্ত্রিত তিন কাশ্মীরী নেতা
অক্টোবরে জম্মু ও কাশ্মীরে যায় ইউরোপিয় ইউনিয়নের ২৩ জনের একটি প্রতিনিধি দল, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিরোধীরা। তারপর থেকে, সেরাজ্যে যেতে দেওয়া হয়নি বিরোধীদের। শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় রাহুল গান্ধির নেতৃত্বাদীন প্রতিনিধি দলকে।
সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, “এই ধরণের পদক্ষেপের ফলে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়ে এবং তারফলে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি হয় এবং দুই দেশই উন্নতি করতে পারে”।