This Article is From Mar 29, 2020

"শ্রমিকদের আটকাতে রাজ্য সীমানা বন্ধ করুন, নিশ্চিত করুন লকডাউন", কেন্দ্রের বার্তা

রাজ্য সীমান্ত বন্ধ করুন আর পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকান। এভাবে লকডাউনের যৌক্তিকতা নিশ্চিত করুন। এই মর্মে অঙ্গরাজ্যগুলোর কাছে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্র।

মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে পথে নেমেছে। (ফাইল ছবি)

হাইলাইটস

  • পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকান। এই মর্মে রাজ্যকে বার্তা কেন্দ্রের
  • সীমান্ত বন্ধ করুন। রাজ্যে ঢোকা বাসগুলোকে আটকান। আবেদন কেন্দ্রের
  • লকডাউন নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিতে আবেদন করেছে কেন্দ্র
নয়া দিল্লি:

রাজ্য সীমান্ত বন্ধ করুন আর পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) আটকান। এভাবে লকডাউনের (Nationwide Lockdown) যৌক্তিকতা নিশ্চিত করুন। এই মর্মে অঙ্গরাজ্যগুলোর কাছে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্র। একইভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। যে শ্রমিক, যেখানে আটকে, তাঁকে সেখানেই থাকার ব্যবস্থা করে দিন। খাওয়ার, জল ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। কেন্দ্রীয় তরফে রবিবার এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে পথে নেমেছে। অভিযোগ, "যেহেতু কর্মকাণ্ড বন্ধ। তাই তাঁদের দায় নিচ্ছে না মালিকপক্ষ। কোনও কোনও জায়গায় আবার বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে শ্রমিকদের।" এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামে ফেরাই এখন উপায়, সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন অনেক শ্রমিক। ফলে এই উপায় বাস্তবায়িত করতে দেশের বিভিন্ন শহরের বাস স্ট্যান্ডে উপচে পড়ছে ভিড়। গাদাগাদি হয়ে বাসে সওয়ার হচ্ছেন অনেক শ্রমিক। শনিবার দিল্লির (Delhi) আনন্দবিহার বাস টার্মিনাসের ছবি দেখে শিহরিত নাগরিক সমাজ। বাড়িও ফেরার তাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে বাসের অপেক্ষায় শয়ে-শয়ে শ্রমিক ও তাঁর পরিবার। এই পরিস্থিতির বদল চাইছে কেন্দ্র। এমনটাই খবর সরকারি সূত্রে। 

বারবার ৪ বার! চতুর্থ করোনা টেস্টেও পজিটিভ রিপোর্ট কণিকা কাপুরের

তাই পরিযায়ী শ্রমিকের দলকে আটকাতে এবার তৎপর হয়ে রাজ্যগুলোর কাছে নির্দেশ পাঠাল কেন্দ্র। সেই নির্দেশে বলা, "প্রয়োজনে যে মালিক, শ্রমিকের দায়িত্ব নিচ্ছেন না, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ব্যবস্থা নেওয়া হোক সেই সব বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে, যারা ভাড়াটেদের ঘর ছাড়তে বলছেন। আর্ত, দুঃস্থ ও এই অসহায় শ্রমিকদের খাওয়ার ও আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করুক রাজ্য। পরিযায়ী শ্রমিকদের মালিকপক্ষকে বলা হোক ব্যবস্থা করে দিতে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করার প্রয়োজনীয় তহবিল রাজ্যগুলর কাছে আছে।"  

সন্তান জন্ম দেওয়ার ১ দিন আগে ভারতের প্রথম করোনাভাইরাস টেস্ট কিট তৈরি করেন এই ভাইরোলজিস্ট

সেই আবেদনে আরও বলা, "রাজ্যে ঢোকা সব যাত্রীবাহী বাসকে সীমান্তেই আটকে দিক প্রশাসন। সেখানেই কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র গড়ে ১৪ দিনের জন্য সেই যাত্রীদের রাখা হোক। খাওয়ার-সহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জোগান মজুত রাখা হোক।"  লকডাউনের কার্যকারিতা বাস্তবায়িত করতে আরও কঠোর হোক রাজ্য প্রশাসন। সবার স্বার্থে এই পদক্ষেপ জরুরি। এমনটা উল্লেখ সেই আবেদনে। 

.