This Article is From Nov 12, 2019

দেশের বৃহত্তম নোনা হ্রদের ধারে হাজারে হাজারে পাখির লাশ! ঘাতক দূষণ না অন্য কিছু?

শতাধিক পাখির লাশ লেকের ধারে ১২-১৩ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। প্রায় ৫,০০০ পাখি মারা গিয়েছে বলেই আশঙ্কা।

শতাধিক পাখির লাশ লেকের ধারে ১২-১৩ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।

সম্ভর:

দেশের বৃহত্তম নোনতা জলের হ্রদের (country's largest inland saltwater lake) ধারে হাজারে হাজারে মরা পাখির দেহ উদ্ধার। জয়পুরের কাছে সম্ভর লেকের (Sambhar Lake) আশেপাশে প্রায় দশটি প্রজাতির হাজার হাজার পরিযায়ী পাখিকে (migratory birds) মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তারা মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে জলের দূষণকেই সন্দেহ করছেন তবে ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। সরকারি ভাবে মৃত পাখির সংখ্যা ১,৫০০ দাবি করা হলেও স্থানীয়রা জানাচ্ছেন মৃত পাখির সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি হতে পারে।

মালা বদলের সময় বরের উদ্দাম নাগিন ডান্স! কলেজছুট পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ভেস্তে দিলেন কনে

স্থানীয় পাখি পর্যবেক্ষক ২৫ বছর বয়সী অভিনব বৈষ্ণব পিটিআইকে বলেন, “আমরা এর আগে এমন জিনিস দেখিনি। পুরো জায়গা জুড়ে ৫০০০ টিরও বেশি পাখি রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছে।" রবিবার যখন অভিনব বৈষ্ণব হ্রদের ধারে ঘুরতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি দেখেন পুরো জলাভূমি জুড়ে কয়েকশো মাংসপিণ্ড ছড়িয়ে রয়েছে। তখনই তিনি এবং তাঁর সহযোগী পাখি পর্যবেক্ষক কিশান মীনা এবং পবন মোদি বুঝতে পারেন মাংসপিণ্ডগুলি আসলে ছিল শত শত পাখির মৃতদেহ।

প্লোভার, কমন কোট, কালো ডানাযুক্ত স্টিলট, উত্তরাঞ্চলীয় শোভলার্স, রাডি শেলডাক এবং পাইড অ্যাডভোকেট সহ শতাধিক পাখির লাশ লেকের ধারে ১২-১৩ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। প্রায় ৫,০০০ পাখি মারা গিয়েছে বলেই আশঙ্কা।

ফরেস্ট রেঞ্জার রাজেন্দ্র জখর বলেন, কয়েকদিন আগে এই অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। “আমাদের অনুমান প্রায় দশটি প্রজাতির প্রায় ১,৫০০ পাখি মারা গেছে। আমরা জলের বিষ, ব্যাকটিরিয়া বা ভাইরাল সংক্রমণের মতো অন্যান্য সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছি,” বলেন তিনি।

ভয়ঙ্কর ভাইরাল! টিভি অ্যান্টেনায় ঝুলন্ত অজগর, চার ঘণ্টায় গিলে খেল বিশাল পাখিকে

জয়পুরের একটি মেডিকেল দল পাখির কয়েকটি শব সংগ্রহ করেছে এবং জলের নমুনা ভোপালে আরও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। পশুচিকিত্সক চিকিৎসক অশোক রাও জানিয়েছেন যে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনিশ্চিত হলেও তিনি বার্ড ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা অস্বীকারই করেছেন।

তিনি বলেন, “প্রাথমিক পরীক্ষায় আমরা পাখিদের থেকে কোনও প্রকার স্রাব খুঁজে পাইনি, যা বার্ড ফ্লুর ক্ষেত্রে পাওয়া যায়।” পশুপালন বিভাগের নোডাল অফিসার আরজি উজ্জ্বল অশোক রাওয়ের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন এই বিষয়ে। এই রহস্যময় বিপর্যয়ের পিছনে সম্ভাব্য কারণগুলিও তালিকাভুক্ত করেছেন তিনি।

“এগুলি জলের একরকম দূষণ হতে পারে। জলের বর্ধিত লবণাক্ততা একটি কারণ হতে পারে, কারণ এটি রক্তে লবণের ঘনত্ব বাড়ায় যা রক্তের প্রবাহকে আরও ধীর করে এবং মস্তিষ্কের মতো অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির কাজ থেমে যেতে পারে,” বলেন আরজি উজ্জ্বল। এই হ্রদ ফ্লেমিংগো, স্টিলটস, স্টিন্টস, গারগ্যানি, গলস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রজাতির পাখিরও প্রিয়। জখর জানান যে, এই হ্রদে প্রতি বছর প্রায় ২-৩ লক্ষ পাখি আসে, যার মধ্যে প্রায় ৫০,০০০ ফ্লেমিংগো এবং ১,০০,০০০ ওয়ার্ডার রয়েছে।

.