প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ সম্পর্কে পঞ্চম ও শেষ সাংবাদিক সম্মেলন অর্থমন্ত্রীর।
এমএনআরইজিএ-তে ৪০,০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচের ব্যাপারে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত' প্যাকেজ বাবদ ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্যাকেজের বিশদ ব্যাখ্যা করতে পরপর সাংবাদিক সম্মেলন করছেন অর্থমন্ত্রী। রবিবার ছিল সেই সম্মেলনের পঞ্চম তথা শেষ দিন। দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০,০০০ ছাড়িয়েছে। দেশ পা রাখতে চলেছে লকডাউনের পরবর্তী পর্যায়ে। এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র্রের পরিকল্পনাগুলির কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘বহু পরিযায়ী শ্রমিক তাঁদের রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন। অতিরিক্ত ৪০,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। তাঁরা যাতে নিজেদের রাজ্যে ফেরার পর কাজ পেতে পারেন তা নিশ্চিত করতেই এই অর্থ খরচ করা হচ্ছে।''
অর্থমন্ত্রী সাত নতুন বিষয়ে ঘোষণা করেছেন। ১) এমএনআরইজিএ, ২) স্বাস্থ্য— গ্রামীণ ও শহর, শিক্ষা সহ, ৩) বাণিজ্য ও কোভিড-১৯, ৪) কোম্পানি অ্যাক্টের অ-দুর্বৃত্তায়ন, ৫)বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত করা, ৬) সরকারি ক্ষেত্রের উদ্যোগ৭) রাজ্য সরকার ও সম্পর্কিত সম্পদ।
সমস্ত জেলা হাসপাতালে সংক্রামক ব্যধির জন্য আলাদা ব্লক নির্মাণ করা হবে। ব্লক সংতরে জনস্বাস্থ্যের ল্যাবরটেরি থাকবে। ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বাবদ তৃণমূল স্তরে বিনিয়োগ শুরু হয়েছে।
মহামারী থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ মে, ২০২০-র মধ্যে অনলাইন ক্লাস শুরু করবে প্রধানমন্ত্রীর ই-বিদ্যা প্রকল্পের অংশ হিসেহে।
রেডিও, পডকাস্ট ও বিশেষ ই-কনটেন্টের পরিকল্পনা করা হয়েছে দৃশ্য-শ্রাব্যজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা শিশুদের জন্য।
যেহেতু লকডাউনের সময়ে বহু পড়ুয়াই মানসিক অবসাদে ভুগছে, তাই ‘মনোদর্পণ' নামের এক প্রচেষ্টার কথা বলা হয়েছে, যেখানে পড়ুয়া, শিক্ষক ও পরিবারের জন্য মনস্তত্ত্বগত সমর্থন দেওয়া হবে।
অতিমারীর কারণে বহু ব্যবসাই প্রবল সমস্যার মুখে পড়েছে। তাই কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের সময়কালে ঋণ শোধ না করতে পারলেও ঋণখেলাপির তকমা দেওয়া হবে না। এখ বছর পর্যন্ত দেউলিয়ার পদক্ষেপ করা যাবে না।
এমএসএমই অর্থাৎ ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে দেউলিয়া আইনের ২৪০এ ধারায় একটি একটি বিশেষ পরিবর্তন করা হচ্ছে। এটি একটি অর্ডিন্যান্স। এবং এটি সংসদে পাশ করানো হবে।
এই ঘোষণাগুলি করা হল দেশ লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে পা রাখার ঠিক আগে। মনে করা হচ্ছে এবার সরকার বিমান ও পথ পরিবহণের ক্ষেত্রে নতুন ঘোষণা করতে পারে।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০,০০০ পেরোল। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ৪,৯৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড-১৯-এ। এর ফলে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯০,৯২৭। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ২,৮৭২ জন। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে।
Post a comment