This Article is From Jun 26, 2020

মেয়ের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর

Bengal Crimes: বিজেপি কর্মীরা উলুবেড়িয়ার মহকুমা আদালতের বাইরে মহিলার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং আসামির মৃত্যুদণ্ডের দাবিও জানান

মেয়ের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর

Crime Against Women: আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে কোনও আইনজীবী তাদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেননি (প্রতীকী ছবি)

হাইলাইটস

  • হাওড়ায় মেয়ের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে মৃত্যু মায়ের
  • ঘটনার পর গ্রেফতার করায় হয় দুই অভিযুক্তকে
  • তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে
হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ:

দিনকয়েক আগে হাওড়ায় (Howrah) নিজের মেয়ের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে মারা যান এক মহিলা। ওই মহিলাকে ছাদ থেকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে (Crime Against Women) গ্রেফতার করা হয় দু'জনকে। তাঁদের মধ্যে এক অভিযুক্ত আবার তৃণমূল নেতা এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই তৃণমূল নেতার বাড়িঘর ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। এদিকে রাজ্য (West Bengal) বিজেপির বেশ কিছু নেতা কর্মী ওই ঘটনার প্রতিবাদে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতের বাইরে ওই মহিলার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং অভিযুক্তদের (Bengal Crimes) মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে কোনও আইনজীবী তাদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেননি। অভিযুক্তদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলায় লকডাউন বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক, দাবি বিজেপির

জানা গেছে, বিজেপি কর্মীরা মহিলার মরদেহ গোপালপুর শিবতলা গ্রামে নিয়ে যাওয়ার পরে ওই দলেরই কয়েকজন কর্মী ও স্থানীয়রা মিলে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

তবে ওই বিক্ষোভ চলাকালীন বাড়ির ভিতর থেকে কেউ একজন বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কোনও ধারাল অস্ত্র ছুঁড়ে মারে। ওই অস্ত্রের আঘাতে মৃত মহিলার এক আত্মীয় আহত হন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রেমাঙ্গু রানা।

১ জুলাই থেকে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত সমস্ত ট্রেনের টিকিট বাতিল করল ভারতীয় রেল

এই ঘটনার পরেই বিক্ষোভকারীরা রণং দেহী হয়ে ওঠেন। তারপরেই তাঁরা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার মেয়ের ফোনের নেটওয়ার্কের সমস্যা হচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির ছাদে উঠে ফোন করার চেষ্টা করছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। অভিযোগ, সেই সময়েই কুশ বেরা নামে ওই তৃণমূল নেতা ছাদে উঠে পিছন থেকে ওই ছাত্রীকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ভয় পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন ওই কলেজছাত্রী। আওয়াজ শুনে তরুণীর মা ছাদে উঠে মেয়ের শ্লীলতাহানিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

সেই সময় অভিযুক্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তরুণীর মায়ের। মহিলাকে সে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে নিচে পড়ে যান। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান তরুণীর মা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালায় অভিযুক্ত। আহত মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।

.