This Article is From Apr 04, 2020

মাস্ক ও স্যানিটাইজার চাওয়ায় হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি, ভিডিও শেয়ার করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি

COVID-19: উত্তরপ্রদেশের বান্দা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা কাজ করছেন করোনা সংক্রান্ত সুরক্ষা ছাড়াই

মাস্ক ও স্যানিটাইজার চাওয়ায় হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি, ভিডিও শেয়ার করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি

Uttar Pradesh: বান্দার স্বাস্থ্যকর্মীরা বেতন কেটে নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন

হাইলাইটস

  • উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়াই করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে হচ্ছে
  • বিস্ফোরক অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের জুনিয়র ডাক্তারের
  • আপত্তি জানালে মারধরের হুমকি, কেটে নেওয়া হল বেতনও
নয়া দিল্লি:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়েছে যে মারাত্মক সংক্রামক এই করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। অথচ ভারতের অনেক হাসপাতালেই দেখা যাচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থা অনেকটা "ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার"-এর মতো। অনেক ক্ষেত্রেই উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই করোনা (COVID-19) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে অনেক সময়ই এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। এবার সামনে এল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) একটি সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থায় এই গলদের চিত্রটি। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের বান্দা (Banda) সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা কাজ করছেন করোনা সংক্রান্ত সুরক্ষা ছাড়াই। সেখানকার এক জুনিয়র ডাক্তার অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে কিছুদিন আগে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তিনি করোনা আক্রান্তদের কাছাকাছি যাওয়ার আগে সুরক্ষা স্বার্থে স্যানিটাইজার এবং মাস্কের দাবি করেন। জানা গেছে, ওই দাবি করার পরেই নাকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে বরখাস্ত করে দেয়। শুধু তাই নয়, বেতনও কেটে নেওয়া হয় তাঁর।

ভারতে ২৯০০ পেরোলো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে নতুন আক্রান্তের রেকর্ড, মৃত ৬৮

ওই জুনিয়র ডাক্তারের আরও অভিযোগ যে তিনি সুরক্ষা সামগ্রী চাইলে তাঁর হাত-পা ভেঙে ফেলে রাখার হুমকিও দেওয়া হয়। "এখান থেকে চলে যান নইলে আমি আপনার হাত-পা ভেঙে দেব ... যোগী জির আদেশ এসেছে আপনার মতো লোকেদের বের করে দেওয়ার জন্যে" । এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। তিনি (Priyanka Gandhi) এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন যে, "আমি উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে আবেদন করছি যে এই সময় এই যোদ্ধাদের প্রতি অবিচার করার সময় নয়, ওনাদের কথা শুনুন"।

শুধু উত্তরপ্রদেশই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতাল থেকেও একই ধরণের অভিযোগ আসছে। অনেক চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীরাই সুরক্ষা কিট ছাড়াই নিজেদের জীবনের ঝুঁকি সহ সামগ্রিক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে কাজ করে চলেছেন। সব জায়গাতেই এই সুরক্ষা কিটের ঘাটতি চোখে পড়ছে।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই চিকিৎসকের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হল ব্রিটিশ সরকারও!

চিকিৎসকদের অভিযোগ, তাঁদের চিকিৎসা করার জন্যে যে ধরণের মাস্ক দেওয়া হচ্ছে তা দিয়ে করোনা ভাইরাস তো দূরঅস্ত, সাধারণ ভাইরাসগুলোকেও ঠেকানো যায় না। দিল্লির এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরাও এমন দাবি তুলেছেন। এদিকে দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এর মাঝে, হাসপাতালগুলিতে কর্মরত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠছে। ভাবতে পারছেন, এই সঙ্কটের সময় যে মানুষগুলো ভগবানের মতো আক্রান্তদের সেবা করে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছেন, তাঁরাই যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে এই দেশের কী অবস্থা হবে? 

.