This Article is From Nov 29, 2019

দাবি মেনে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দু’বার ক্ষমা চাইলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর

বিজেপি বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা বিষয়ক ২১ সদস্যের সংসদীয় পরামর্শদানকারী কমিটি থেকে সরিয়ে দিয়েছে প্রজ্ঞা ঠাকুরকে।

দাবি মেনে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দু’বার ক্ষমা চাইলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর

শুক্রবার সংসদে ক্ষমা চাইলেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর।

নয়াদিল্লি:

নাথুরাম গডসেকে ‘‘দেশভক্ত'' বলার কারণে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার সংসদে ক্ষমা চাইলেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মন্তব্যকে ঘুরিয়ে দিয়েছে বিরোধীরা। তিনি তাঁর মন্তব্যে অন্যের আবেগকে আঘাত দেওয়ার জন্যও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ৪৯ বছরের সাংসদ দাবি করেন, তাঁকে এক সাংসদ কোনও প্রমাণ ছাড়াই ‘‘জঙ্গি'' বলেছেন। প্রজ্ঞা বলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির কথা। রাহুল বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘‘জঙ্গি প্রজ্ঞা জঙ্গি গডসেকে দেশভক্ত বলেছেন। ভারতের সংসদীয় ইতিহাসের এক দুঃখময় দিন।'' পরে অবশ্য নিজের টুইটটি মুছে দেন কংগ্রেস সাংসদ। বিজেপি বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা বিষয়ক ২১ সদস্যের সংসদীয় পরামর্শদানকারী কমিটি থেকে সরিয়ে দিয়েছে প্রজ্ঞা ঠাকুরকে।

‘‘আমার মন্তব্যকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে'': সংসদে প্রজ্ঞা ঠাকুর

এদিন প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, ‘‘বিস্তারিত ভাবে না বুঝে আমার মন্তব্যকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তা নিন্দনীয়। মহাত্মা গান্ধি জাতির জন্য বিরাট অবদান রেখেছিলেন এবং আমি তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। আমি ক্ষমা চাইছি যদি আমি কারও আবেগে আঘাত দিয়ে থাকি। কিন্তু বিরোধীপক্ষ আমার মন্তব্যকে বিকৃত করেছে।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘কক্ষের এক সদস্য আমাকে ‘জঙ্গি' বলেছেন। এটা সংসদের সদস্য হিসেবে আমার সম্মানে আক্রমণ এবং একজন মহিলা হিসেবেও। আমার বিরুদ্ধে আনা কোনও অভিযোগই আদালতে প্রমাণিত হয়নি। আমার ভুল ভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে। ইচ্ছাকযত ভাবে আমাকে জঙ্গি বলা হয়েছে। আমাকে জঙ্গি বলাটা বেআইনি। যিনি এটা করেছেন তিনি সরাসরি ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে অপমান করছেন।''

প্রজ্ঞা ঠাকুরকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেবো : ভয়ঙ্কর হুমকি কংগ্রেস বিধায়কের

বিজেপি সাংসদরাও চিৎকার করে ‘‘শেম'' ধ্বনি তুলে আক্রমণ করেন কংগ্রেস সাংসদদের। এবং রাহুল গান্ধির ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি করেন তাঁরা।

বিজেপির নিশিকান্ত দুবে সংসদে বলেন, ‘‘একজন মহিলা ও সংসদের সদস্যকে জঙ্গি বলাটা মহাত্মা গান্ধির হত্যাকাণ্ডের চেয়েও খারাপ।'' তিনি দাবি জানান, এই মন্তব্য করার জন্য রাহুল গান্ধিকে ক্ষমা চাইতে হবে।

সংসদের বাইরে রাহুল গান্ধি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘ওদের যা করার করতে দিন। আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করে বলেছি।''

এদিকে বিরোধীদের দাবি, কেবল ক্ষমা প্রার্থনাই যথেষ্ট নয়। তাঁরাও ‘‘ডাউন ডাউন গডসে'' এবং ‘‘মহাত্মা গান্ধি দীর্ঘজীবী হোন'' স্লোগান দিতে থাকেন।

স্পিকার ওম বিড়লা লোকসভার সদস্যদের কাছে আবেদন করেন যে, মহাত্মা গান্ধিকে নিয়ে যেন রাজনীতি না হয়।

.