This Article is From Sep 27, 2019

“সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রাগ, দায়বদ্ধতা রয়েছে”, রাষ্ট্রসংঘে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

PM Narendra Modi at UNGA: পাকিস্তানের নাম না করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, মানবতা সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ যা করছে, তাতে আন্তর্জাতিকভাবে আরও ক্ষোভ প্রয়োজন

PM Modi at UN: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

রাষ্ট্রসঙ্ঘ:

শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (UN General Assembly) বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) সেখানেই তিনি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বকে একজোট হওয়া এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যমত গড়ে তোলার কাজ করার ওপর জোর দিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র কোনও একটি দেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যে, সন্ত্রাসবাদ কোনও একটি দেশের কাছে চ্যালেঞ্জ নয়, সমস্ত দেশ এবং মানবতার কাছে চ্যালেঞ্জ। মানবতার জন্য, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বকে একজোট হতে হবে”। পাকিস্তানের নাম না করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, মানবতা সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ যা করছে, তাতে আন্তর্জাতিকভাবে আরও ক্ষোভ প্রয়োজন।

দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ লড়াই করলে, বিশ্বে “প্রভাব” পড়ে, রাষ্ট্রসংঘে বললেন ইমরান খান

হিন্দিতে ২০ মিনিটের ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমরা সেই দেশের, যারা বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন আমরা আওয়াজ তুলি, গুরুত্ব দিয়ে এবং ক্ষোভের সঙ্গে বলি”। বিষ্ণ উষ্ণায়ন এবং উন্নয়নে ভারতের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রসংঘের বিতর্কে, ২০১৪ এর পর এটা তাঁর দ্বিতীয় ভাষণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে ঐক্যমতের ঘাটতি, রাষ্ট্রসংঘ তৈরি হওয়ার নীতিকে আঘাত করে”। প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দ সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন ধর্মসভায়, বিভেদের বার্তা নয়। বিশ্বের জন্য, সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রেরও একই বার্তা---সম্প্রীতি এবং শান্তি”।

“আমরা বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছি, যুদ্ধ নয়”, রাষ্ট্রসংঘে বললেন প্রধানমন্ত্রী

তাঁর এক সপ্তাহের আমেরিকা সফরে, পাকিস্তানের একবারও সরাসরি নাম না করে, তিনি পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন, দেশটি সন্ত্রাসবাদের উৎসস্থল এবং তাদের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে।

গত রবিবার, হাউস্টনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে “হাউডি মোদি” অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “তাদের মূল এজেন্ডা হল ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো। তারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের প্রশয় দেয়। সেটা ৯/১১-এ আমেরিকা হোক বা ২৬/১১ এর মুম্বই হামলা, ষড়যন্ত্রকারীদের কোথায় পাওয়া গিয়েছিল? শুধু আপনারা নন, সারা বিশ্ব জানে, তারা কোন দেশের”।

বৃহস্পতিবার, আমেরিকার তরফে বলা হয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নির্ভর করছে, সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তার ওপর।

রাষ্ট্রসংঘে বক্তব্যের পরেই “সেলফি রিকয়েস্ট” ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর দফতরের

দক্ষিণ  মধ্য এশিয়ার মার্কিন কার্যকরী সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস বলেন, “আমি মনে করি, আমরা দেখতে চাইব, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা  হবে যার মাধ্যমে দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের সম্পর্কের উন্নতি হবে”।

তিনি বলেন, “এবং অবশ্যই, সন্ত্রাসবিরোধিতা নির্ভর করছে, যে সংগঠনগুলি সীমান্ত অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের অ্যাকশন প্ল্যান কার্যকরা করা, যা পাকিস্তান শপথ নিয়েছে, যারমধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রসংঘ ঘোষিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিচার করা। সুতরাং সেটা হাফিজ সইদ, যে এখন হেফাজতে রয়েছে, এবং জইশ-ই-মহম্মদ নেতা, মাশুদ আজাহার, যে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করেছে”।

.