This Article is From Jan 20, 2020

"পড়ুয়াদের সময় নষ্ট করা উচিত নয় মোদির": 'পরীক্ষা পে চর্চা' ঘিরে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ কপিল সিবালের

Pariksha Pe Charcha 2020: পড়ুয়াদের সময় নষ্ট করা উচিত নয়,” প্রধানমন্ত্রী মোদির পরীক্ষা পে চর্চার ঠিক পরেই সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন কপিল সিবাল।

Kapil Sibal বলেন আলোচনায় সময় নষ্ট না করিয়ে পড়ুয়াদের পড়তে সময় দেওয়া উচিত নরেন্দ্র মোদির!

নয়াদিল্লি:

সামনেই পরীক্ষা, তাই এখন আলোচনায় সময় নষ্ট না করিয়ে পড়ুয়াদের পড়তে সময় দেওয়া উচিত নরেন্দ্র মোদির! কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল (Congress leader Kapil Sibal) সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Prime Minister Narendra Modi) তার বার্ষিক ‘Pariksha Pe Charcha'য় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে এভাবেই আক্রমণ করেছেন। “আমার পরামর্শ যে বোর্ডের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পড়ুয়াদের একটু একা ছাড়ুন প্রধানমন্ত্রী। পড়ুয়াদের সময় নষ্ট করা উচিত নয়,” প্রধানমন্ত্রী মোদির পরীক্ষা পে চর্চার ঠিক পরেই সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন কপিল সিবাল।

পড়ুয়াদের উৎসাহ দিতে ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টের প্রসঙ্গ টানলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল বিজেপির কিছু নেতা যে নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ সামনে আনতেও অনীহা প্রকাশ করেন তার সমালোচনা করে বলেন, “প্রকাশ্যে ডিগ্রির 'স্বচ্ছতা' নিয়ে আলোচনা করা উচিত, এটা সবার জানা উচিত। এটাই তাঁর ন্যায্য 'মন কি বাত' হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিসহ কয়েকজন বিজেপি নেতা বছরের পর বছর ধরে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

সোমবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদি চন্দ্রযান অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে সাফল্য ও ব্যর্থতা বিষয়ে কথা বলেন। “আমাকে বলা হয়েছিল যে সাফল্যের কোনও নিশ্চয়তা না থাকায় চন্দ্রযান অবতরণের সাক্ষ্মী হওয়া আমার উচিত নয়। তবে আমার সেখানে উপস্থিত থাকা দরকার ছিল,” বোর্ডের পরীক্ষার কারণে তাদের চাপের বিষয়ে রাজস্থানের এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে মোদি বলেন।

এনআরসি-সিএএ বিরোধিতার সুর মিলিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানকে

মহাকাশ অভিযান ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) বিজ্ঞানীরা তাদের হতাশাকে কাটিয়ে উঠেছে তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উত্সাহ যোগ করতে পারি। একটা অস্থায়ী ধাক্কা মানেই সাফল্য আসবে না এমন নয়। আসলে, বাধা পড়ছে মানে সম্ভবত সেরা জিনিসটি এখনও পাওা বাকি।”

প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখাপড়া এবং ক্রিকেট ম্যাচের (বিশেষত ২০০১ সালের ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট) মধ্যে তুলনাও করেন। “আমাদের ক্রিকেট দল বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। মেজাজ খুব একটা ভাল ছিল না। তবে এই মুহুর্তগুলিতে আমরা কী কখনও ভুলতে পারি যে রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ কী করেছিলেন? তারা ম্যাচটি ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন... একইভাবে, অনিল কুম্বলের চোট নিয়েও বোলিং ভোলা যায়! এটাই অনুপ্রেরণা এবং ইতিবাচক চিন্তার শক্তি,” বলেন মোদি।

.