This Article is From Nov 01, 2019

কর্তারপুর করিডোর উদ্বোধনের দিন বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার পাবেন শিখ তীর্থযাত্রীরা: ইমরান খান

Kartarpur Corridor: কর্তারপুর করিডোরের মাধ্যমে গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক মাজারের সঙ্গে পাকিস্তানের গুরুদ্বার কর্তারপুর সাহিবকে সংযুক্ত করা হয়েছে

কর্তারপুর করিডোর উদ্বোধনের দিন বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার পাবেন শিখ তীর্থযাত্রীরা: ইমরান খান
ইসলামাবাদ:

কর্তারপুর করিডোর নিয়ে নতুন ঘোষণা করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান । তিনি (Imran Khan) শুক্রবার টুইট করে জানান যে ৯ নভেম্বর কর্তারপুর করিডোরের (Kartarpur Corridor) উদ্বোধনের দিনে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে কোনও মাশুল নেওয়া হবে না। পাশাপাশি, ভারত থেকে আসা শিখ তীর্থযাত্রীদের কর্তারপুরে যাওয়ার জন্য কোনও পাসপোর্টেরও প্রয়োজন হবে না বলেও জানান ইমরান খান। "ভারত থেকে কর্তারপুরে শিখ তীর্থযাত্রীদের আসার জন্য আমি দুটি প্রয়োজনীয় শর্ত বাতিল করে দিয়েছি: ১) তাদের পাসপোর্টের মতো কোনও বৈধ পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হবে না; ২) তাদের আর ১০ দিন আগে থেকে এখানে (Pakistan) আসার জন্যে নিবন্ধীকরণ বা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না, এছাড়াও, উদ্বোধনের দিন এবং গুরুজির ৫৫০ তম জন্মদিনের দিন প্রবেশের জন্যে কোনও মাশুলও দিতে হবে না তাঁদের", টুইটে ঘোষণা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

কর্তারপুর করিডর চালু করতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

কর্তারপুর করিডোরের মাধ্যমে গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক মাজারের সঙ্গে পাকিস্তানের গুরুদ্বার কর্তারপুর সাহিবকে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আগামী ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরুদাসপুরে এই করিডোরের উদ্বোধন করবেন এবং পাকিস্তানের প্রান্ত থেকে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেটিকে উন্মুক্ত ঘোষণা করবেন।

নতুন ওই করিডোরটি পাঞ্জাবের ডেরা বাবা নানক মাজারকে কর্তারপুরের দরবার সাহিবের সঙ্গে সংযুক্ত করবে, যা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নরওয়াল জেলায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক সীমারেখা থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে। এটিই সেই জায়গা যেখানে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক দেব তাঁর জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছেন বলে বিশ্বাস করা হয়।

Kartarpur Corridor: সেতু তৈরিতে সম্মতি পাকিস্তানের, দিনে ৫ হাজার তীর্থযাত্রী যাবেন করিডর দিয়ে

এর আগে পাকিস্তানের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় যে কর্তারপুর করিডোর দিয়ে সে দেশে প্রবেশের জন্যে শিখ তীর্থযাত্রীদের ২০ ডলার করে মাশুল দিতে হবে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই ঘোষণার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধের কারণে মাজারে যেতে ইচ্ছুক তীর্থযাত্রীদের জন্য অনলাইন নিবন্ধীকরণ বা রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করতেও দেরি করা হয়।

.