This Article is From Jul 14, 2019

Kartarpur Corridor: সেতু তৈরিতে সম্মতি পাকিস্তানের, দিনে ৫ হাজার তীর্থযাত্রী যাবেন করিডর দিয়ে

অবশেষে ফলপ্রসূ হল রবিবারের কার্তারপুর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের বৈঠক।

Kartarpur Corridor: সেতু তৈরিতে সম্মতি পাকিস্তানের, দিনে ৫ হাজার তীর্থযাত্রী যাবেন করিডর দিয়ে
নিউ দিল্লি:

অবশেষে ফলপ্রসূ হল রবিবারের কার্তারপুর (5,000 Pilgrims) করিডর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের (India-Pak) বৈঠক। দুই দেশের শিখ তীর্থযাত্রীরা যাতে সহজেই ভারত এবং পাকিস্তানের গুরুদ্বারে অবাধে তীর্থযাত্রায় যোগ দিতে পারেন, তার জন্য ইতিমধ্যেই সড়কপথে জিরো লাইনে একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল ভারত। যদিও পাকিস্তানের সম্মতি না পাওয়া পর্যন্ত কাজ স্থগিত রাখা হয়েছিল সায়মিক। রবিবার সেই সমস্যা কেটে গেল দুই দেশের বৈঠকে। প্রসঙ্গত, বর্ষায় রবি নদীর জল উপচে গুরুদাসপুর জেলায় বন্যা হয় প্রতিবছর। তীর্থযাত্রীরা যাতে সেই সময় কোনও সমস্যায় না পড়েন তার জন্যই এই সেতু নির্মাণের ওপর জোর দিচ্ছে ভারত। সেতু নির্মাণের সম্মতি জানানোর পাশাপাশি আলোচনায় এও বলা হয়, ভিসা ছাড়াই তীর্থযাত্রায় যেতে পারবেন শিখ তীর্থযাত্রীরা। একই সঙ্গে সারা বছর দিনে ৫ হাজার (5,000 Pilgrims) তীর্থযাত্রী কর্তারপুর ও গুরুদাসপুরের দুই গুরুদ্বারে প্রার্থনা করতে যেতে পারবেন। একই সঙ্গে তীর্থযাত্রীদের আশ্বস্ত করে বলা হয়, তাঁদের ধর্মপালন এবং বিশ্বাসে কোনও আঘাত করবে না দুই দেশ।

বৈঠকের পর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যত শীঘ্র সম্ভব সেতু তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। আগামী নভেম্বরে গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মদিন। ওই দিন যাতে করিডোর দিয়ে তীর্থযাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে সবার আগে। দুই দেশের তীর্থযাত্রী ছাড়াও যেসব প্রবাসীদের কাছে বিদেশি নাগরিকত্ব (ওসিআই) কার্ড রয়েছে তাঁরাও এই করিডোর দিয়ে গুরুদ্বারে যেতে পারবেন। 

প্রসঙ্গত, আজ সকাল সাড়ে ন-টায় কার্তারপুর করিডোর (Kartarpur corridor) নিয়ে ওয়াঘায় দ্বিতীয় দফার বৈঠকে (second round of talks ) মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ অফিসারেরা (Indian and Pakistan)। দুই দেশের শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি এই করিডোরের পাক কমিটি থেকে সদ্য সরিয়ে দেওয়া হয়েছে খালিস্তান নেতা গোপাল সিং চাওয়ালকে। তার ঠিক একদিন পরেই অনুষ্ঠিত হল এই বৈঠক। 

বৈঠকে ভারতের হয়ে আলোচনায় বসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (বিদেশ) যুগ্ম-সচিব অনিল মালিক। ইসলামাবাদের প্রতিনিধিত্ব করেন দক্ষিণ এশিয়ায় অধিকর্তা তথা পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহম্মদ ফয়সল। 

.