রাজ্য বিজেপিতে কোনও অন্তর্কলহ নেই। সোমবার দাবি করেছেন দলের সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গেরুয়া শিবিরের নীচুতলার মনোবলে চিড় ধরাতে এটা তৃণমূল কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র। এমন অভিযোগও তুলেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের একাংশকেও এ ব্যাপারে কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। দলের রাজ্য অফিস মুরলীধর সেন লেনের অফিসে সাংবাদিকদের দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমরা এক আছি আর এক থাকবো। ঐক্যবদ্ধ হয়েই আগামি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়বো।" এদিকে, বিজেপির অন্দরে খবর নব্য বিজেপি আর পুরনো বিজেপি একটা দ্বন্দ্ব দলে উসকে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল শিবির ছেড়ে যাঁরা সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরের এসেছেন, তাঁরা দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠীর চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে। কারণ মুকুল রায় বনাম দিলীপ ঘোষের একটা ঠাণ্ডা লড়াই দলে বহুদিন ধরে বিদ্যমান।
কিন্তু এদিন সাংবাদিকদের সামনে সেই গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ দলের রাজ্য সভাপতি। অপরদিকে, একইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, "দলের সব সাংসদ বিজেপির থাকবে। রাজ্যের শাসক দলের উসকানিতে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। ১৮ জন বিজেপি সাংসদই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুপ্রেরণায় দেশ গঠনের কাজ করছেন। এবং ভবিষ্যতেও করবেন।" দিনকয়েক আগে বিজেপি ছেড়ে ফের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন বিপ্লব মিত্র।
দক্ষিণ দিনাজপুরের একদা তৃণমূল জেলা সভাপতি ও হরিরামপুরের প্রাক্তন বিধায়কের এই ঘর ওয়াপসি গেরুয়া শিবিরের অন্দরে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কারণ রাজ্য রাজনীতিতে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত এই বিপ্লব মিত্র। ২০১৯-এর জুনে শাসক দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে বৈরিতার জেরে দল ছেড়েছিলেন তিনি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)