This Article is From Jan 08, 2020

"মৃত বলে মনে করা মেয়েরা আসলে জীবিত": বিহার শেল্টার হোম মামলায় নয়া মোড়!

Muzaffarpur Shelter Home Case: রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্রজেশ ঠাকুর ও তাঁর সহযোগীরা হোমের ১১ জন মেয়েকে হত্যা করেছে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানায় সিবিআই

CBI On Muzaffarpur Shelter Home: বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিহারের শেল্টার হোম নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই

হাইলাইটস

  • বিহারের শেল্টার হোম কাণ্ডে নয়া মোড়
  • মৃত বলে আশঙ্কা করা ৩৫ জন নাবালিকাই জীবিত, বলল সিবিআই
  • সুপ্রিম কোর্টকে মামলার গতি প্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল তদন্ত সংস্থা
নয়া দিল্লি:

বিহারের মুজফফরপুর হোমকাণ্ডে (Muzaffarpur Shelter Home Case) চাঞ্চল্যকর মোড়। ওই আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ জন মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ উঠলেও তা নাকচ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের কাছে এক আশ্চর্য দাবি করল আজ (বুধবার)। সিবিআই শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে নিখোঁজ ৩৫ জন নাবালিকা, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তাঁরা প্রত্যেকেই জীবিত আছে। পাশাপাশি ওই তদন্ত সংস্থা এও জানিয়েছে (CBI On Muzaffarpur Shelter Home) যে প্রায় দু'বছর আগে ওই শেল্টারহোম বা আশ্রয়কেন্দ্রে (Muzaffarpur Shelter Home) গণ-যৌন নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলার তদন্তের কাজও শেষ হয়েছে। অথচ গত বছরই, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা শীর্ষ আদালতকে বলে যে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্রজেশ ঠাকুর ও তাঁর সহযোগীরা হোমের ১১ জন নাবালিকাকে হত্যা করেছে এবং তাঁর প্রমাণ স্বরূপ "একগুচ্ছ হাড়" উদ্ধার করার কথাও বলে তাঁরা। কিন্তু বুধবার তাঁদের সেই দাবি থেকে সরে এসে সম্পূর্ণ অন্য দাবি করে সিবিআই। তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে যে, মাত্র দুটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে যার মধ্যে একটি পুরুষ এবং অপরটি কোনও মহিলার কঙ্কাল। সিবিআই সুপ্রিম কোর্টকে আরও জানিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত কোনও নাবালিকাকে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

চটুল গানে নাচ, ধর্ষণ করা হয়েছিল কিশোরীদের, মুজফ্ফরপুরের ঘটনায় জানাল সিবিআই

তদন্ত সংস্থার পক্ষে আদালতে সওয়াল করতে উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল বলেন যে নাবালিকাদের খুন করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তাঁদের সবারই সন্ধান মিলেছে এবং তাঁরা প্রত্যেকেই জীবিত অবস্থায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে সিবিআই বিহারের ১৭ টি  শেল্টার হোম বা আশ্রয়কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করেছে এবং তার মধ্যে ১৩ টির ক্ষেত্রে চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও চারটি মামলায় প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে এবং পরে সে সব ক্ষেত্রে অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় তা বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে।

মুজফফরপুরে নাবালিকা মেয়েদের চটুল গানে নাচতে বাধ্য করা হয় এবং পরে তাঁদের উপর যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই এমন সূত্রও পায় যে, ওই ঘটনার সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও আমলাদের যোগ আছে। তবে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ওই জেলার সিকান্দরপুর এলাকার একটি শ্মশানের মধ্যে থেকে উদ্ধার হওয়া একটি কঙ্কালের সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগ থাকতে পারে মনে করা হয়।

মুজফফরপুরের আশ্রমে নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনের ঘটনায় কঙ্কাল উদ্ধার করল সিবিআই

সিবিআইয়ের দায়ের করা চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসাবে প্রভাবশালী ব্রজেশ ঠাকুরের নাম উল্লেখ করা হয় বলে জানা গেছে। ব্রজেশ ঠাকুর, হোমের কর্মী সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।চার্জশিটে উল্লেখ, নাবালিকাদের খোলামেলা পোষাক পড়ে চটুল গানের তালে নাচতে এবং নেশা করতে বাধ্য করানো  হয়। তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, পরে ব্রজেশ ঠাকুরের অতিথিরা নাবালিকাদের ধর্ষণ করে। যে নাবালিকারা বাধা দেয়, তাঁদের মারধর এবং অত্যাচার করা হয় বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে নীতিশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে ব্রজেশ ঠাকুরকে সমর্থনের অভিযোগ তুলেছে আরজেডি।

বুধবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চের কাছে মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সেখানেই তদন্ত সংস্থা জানায়, যে ৩৫ জন নাবালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই জীবিত আছে।

.