This Article is From Nov 29, 2019

'শিবরাজ্যাভিষেক' সম্পূর্ণ, উদ্ধব ঠাকরের শপথগ্রহণে উপস্থিত আম্বানি পরিবার

সেই বর্ণাঢ্য শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে 'বন্ধু' উদ্ধবের পাশে থাকতে দেখা গেল সপরিবারে রিলায়েন্স সংস্থার কর্ণধার মুকেশ আম্বানিকে।

'শিবরাজ্যাভিষেক' সম্পূর্ণ, উদ্ধব ঠাকরের শপথগ্রহণে উপস্থিত আম্বানি পরিবার

উদ্ধব ঠাকরের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মঞ্চে আম্বানি পরিবার

হাইলাইটস

  • ছেলে অনন্ত, স্ত্রী নীতাকে নিয়ে উদ্ধব ঠাকরের শপথগ্রহণে ছিলেন মুকেশ আম্বানি
  • শপথের পরে আদিত্য ঠাকরেকে জড়িয়ে ধরেন মুকেশ
  • রাজনীতির আসনে এই প্রথম বসলেন ঠাকরে পরিবার
মুম্বই:

রাজনীতির আঙিনায় পুরনো হলেও রাজনৈতিক আসনে প্রথম বসছে ঠাকরে পরিবারের প্রতিনিধি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বৃহস্পতিবারের সন্ধেয় সেই বর্ণাঢ্য শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে 'বন্ধু' উদ্ধবের পাশে থাকতে দেখা গেল সপরিবারে রিলায়েন্স সংস্থার কর্ণধার মুকেশ আম্বানিকে। মুকেশ-নীতা এবং ছেলে অনন্ত আম্বানি শিবাজি পার্কের মঞ্চেই ছিলেন উদ্ধবের শপথগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, এনসিপি এবং কংগ্রেসের হাত ধরে একটি সম্ভাব্য জোটের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে।  

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন উদ্ধব ঠাকরে

গেরুয়া সিল্কের পাঞ্জাবিতে সেজে 'শিবরাজ্যাভিষেক'-এর আগে উদ্ধব শিবাজি পার্কে এসে প্রথমেই মুকুট পরান ছত্রপতি শিবাজি মহারাজকে। প্রার্থনা জানান তাঁর কাছে। তারপর শুরু হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। গতকাল, শিবাজি পার্কের মঞ্চ আকার নিয়েছিল বিশাল এক দুর্গের। তাবড় নেতা-মন্ত্রীদের ভাষায় এত যুগ পরে যেন সম্পূর্ণ হল শিবসেনা দুর্গ। দলীয় সদস্য-কর্মী এবং বলিউডের আক্ট ডিরেক্টর নীতিন দেশাই মিলে বানিয়েছেন এই দুর্গ। সেখানে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা যায় স্ত্রী রেশমি ঠাকরে এবং ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে। গত মাসে ওরলি বিধানসভায় জিতে রাজনীতিতে সদ্য পা রেখেছেন আদিত্য। শপথগ্রহণ শেষ হতেই আনন্দে পরস্পরে জড়িয়ে ধরে মুকেশ-আদিত্য।

উদ্ধব ঠাকরের পর নবনির্মিত দল মহা বিকাশ আগাধি-র ছয় মন্ত্রী শপথ নেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন দু-জন করে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের মন্ত্রী। প্রত্যেকে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির থেকে শপথ নেন। শুক্রবার রাত আটটায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক করবেন উদ্ধব। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, খুড়তুতো ভাই রাজ ঠাকরেও। প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গোপনে শপথ নিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের চেষ্টা করেছিলেন দেবেন্দ্র সহ বিজেপি। প্রায় একসপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা কাটিয়ে অবশেষে স্থিতি এল সেরাজ্যে। যদিও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না সোনিয়া-রাহুল গান্ধি। একটি চিঠিতে সোনিয়া উদ্ধবকে লেখেন, বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ায় তিনি আনন্দিত এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, এটি “স্থায়ী, ধর্মনিরপেক্ষ এবং গরিব দরদী” সরকার হবে। 

বিরোধী পক্ষে বসে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা ফড়নবিশের?

ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রণ জানালেও অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। প্রসঙ্গত, গতকাল যেখানে শপথ নেন উদ্ধব ঐতিহাসিক দিক থেকেও দাদরার সেই স্থান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ শিবসেনার কাছে। ১৯৬৬ সালে এখানে প্রথম শিবসেনা জন্ম নেয় বাল ঠাকরের হাত ধরে। এখানেই প্রথম জনসভা করেছিলেন তিনি।

.