This Article is From Jul 07, 2018

ঝাড়খন্ডের মাংস ব্যবসায়ীকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত 8 জনকে মালা পরিয়ে বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

একজন স্থানীয় বিজেপি নেতা সহ মোট 11 জনের একটি দলকে গত বছরের 30 জুন আলিমুদ্দিনকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়

ঝাড়খন্ডের মাংস ব্যবসায়ীকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত 8 জনকে মালা পরিয়ে বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন ঝাড়খন্ড থেকে জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া জয়ন্ত সিনহা

হাজারীবাগ, ঝাড়খন্ড:

বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন ঝাড়খন্ড থেকে জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া জয়ন্ত সিনহা। গত বছর এক মাংস ব্যবসায়ীর হত্যাকান্ডে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া আটজনকে সংবর্ধনা দিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে গেলেন তিনি।

বিতর্কের সূত্রপাত কয়েকটি ছবি থেকে। সেখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, নিজের বাসভবনে ওই আটজনকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন মন্ত্রীমশাই৷ কিছু ছবিতে আবার দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী হাজারিবাগের কাছে নিজের বাড়িতে দাঁড়িয়ে ওই আটজন অপরাধীর গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন।

"এটি অত্যন্ত জঘন্য একটি কাজ", বিরোধী দলনেতা হেমন্ত সোরেন টুইট করে আজ এই কথা বলেন৷ নিজের টুইটে জয়ন্ত সিনহা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী,  আমেরিকার সেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কেও ট্যাগ করে দেন হেমন্ত।

"গরুর মাংস সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের সংবর্ধনা দিচ্ছেন আপনাদের প্রাক্তনী। হার্ভার্ড কি এই ব্যাপারটিকে আদৌ সমর্থন করতে পারে?", জয়ন্ত সিনহার বিরুদ্ধে টুইট করে হেমন্ত সোরেন এই কথা লেখেন। হাজারিবাগ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিনহা। রামগড়ও তাঁর কেন্দ্রের অন্তর্গত এলাকাগুলির মধ্যেই পড়ে। 

বহু চেষ্টা সত্ত্বেও এই ব্যাপারে জয়ন্ত সিনহার কোনও মন্তব্য জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তাঁর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে তিনি এই ব্যাপারটি সম্বন্ধে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন।

একজন স্থানীয় বিজেপি নেতা সহ মোট 11 জনের একটি দলকে গত বছরের 30 জুন আলিমুদ্দিনকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

'গরুর মাংস নিয়ে যাচ্ছে', এই সন্দেহে ঝাড়খন্ডের মাংস ব্যবসায়ী আলিমুদ্দিনকে গাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল উন্মত্ত জনতা। যার নেতৃত্বে ছিল এই অভিযুক্তরা।  55 বছর বয়সী আলিমুদ্দিন আনসারির মৃতদেহ পড়েছিল রামগড়ের রাস্তায়। তাঁর গাড়িটিতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি ভাষণে "গরুকে বাঁচানোর নামে মানুষ খুন করা কখনওই বরদাস্ত করা হবে না"- শীর্ষক মন্তব্যটি করার কয়েকদিন বাদেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল ঝাড়খন্ডে।

.