This Article is From Jun 10, 2020

কলার টিউনে কাশির শব্দ; তারপর মহিলা কন্ঠ! সেই রহস্যময়ী ভিও আর্টিস্টকে চিনুন

এনডিটিভি এই কণ্ঠশিল্পীর থেকে জেনেছে তাঁর এমন ভাবে ভাইরাল হওয়ার কাহিনি

যশলিন ভাল্লাই দেশকে সতর্ক করতে সেই ভয়েস ম্যাসেজ রেকর্ড করেন।

হাইলাইটস

  • করোনা কলার টিউনের নেপথ্যের কণ্ঠশিল্পী জশলিন ভাল্লা
  • শুনে নিন এনডিটিভিকে দেওয়া তার সাক্ষাৎকার
  • এই কণ্ঠ এখন দেশকে সংক্রমণ-মুক্ত রাখতে ভাইরাল
নয়াদিল্লি:

কাউকে ফোন করলেই কলার টাউনে (Corona Caller Tune) কাশির শব্দ। আর তার সঙ্গেই একটা মহিলা কণ্ঠ। যে কণ্ঠ আপনাকে বলছে; আজ গোটা দেশ করোনার সঙ্গে লড়ছে...। আর সংক্রমণ (Covid-19) থেকে বাঁচতে কী করবেন; কী করবেন না। সেটাও বলে দিচ্ছে এই কলার টিউন। ভারত সরকারের উদ্যোগে নেওয়া এই সতর্কবার্তা গত তিন-চার মাস বেশ বিরক্তির উদ্রেক ঘটিয়েছে মোবাইল গ্রাহকদের। কিন্তু কখনও ভেবেছেন কে এই রহস্যময়ী নারী  যে একাধারে আপনার মধ্যে বিরক্তির উদ্রেক করছে; আবার সতর্কও করছে। যদি ভাবেন এটা সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড বার্তা, তাহলে সেই ভাবনা একদম ভুল। সেই মহিলা কণ্ঠ জশলিন ভাল্লার (Voice Over artist Jashleen Valla)। যিনি ভারত সরকারের তরফে করোনা আবহে আপনাকে সুস্থ ও সংক্রমণ মুক্ত রাখতে ২৪ ঘণ্টাই সক্রিয়। এনডিটিভি এই কণ্ঠশিল্পীর থেকে জেনেছে তাঁর এমন ভাবে ভাইরাল হওয়ার কাহিনি।

সাক্ষাৎকারে জশলিন ভাল্লা বলেছেন, "এই ভয়েস ম্যাসেজ রেকর্ড করার সময় আমি জানতাম না এতটা জনপ্রিয়তা পাবো। আমার ভয়েস এখন মিমের বিষয়বস্তু। এটাও একটা ভালো দিক। এমনটাও শুনেছি আমার গলায় বিরক্ত হয়ে অনেকে এই ভয়েস ম্যাসেজ বন্ধ করতে টেলিকম মন্ত্রকের কাছে দরবারও করেছেন।"

তিনি বলেন; "আমার ভয়েস ম্যাসেজে পরিবার পর্যন্ত বিরক্ত। ওরাও এই নিয়ে আমার সঙ্গে খুনসুটি করে। পাশাপাশি বন্ধুবান্ধব; আত্মীয়-স্বজন তো আছেই। যাঁরা একদিকে গর্বিত আবার অন্যদিকে বিরক্তও।"

এই বিষয়ে জশলিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল; "আপনি কাউকে ফোন করলেন এবং নিজের গলা শুনলেন! কেমন অনুভূতি?" হেসে জশলিনের মন্তব্য; "একটু অদ্ভূত তো লাগে। আপনি একজনকে ফোন করলেন আর ৩০ সেকেন্ড ধরে নিজের গলা শুনলেন। ফেসমাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া; আপনার কথা আপনাকেই শুনতে হচ্ছে।" তিনি দাবি করেন; "জনস্বার্থে একটা বার্তা রেকর্ড করতে হবে। প্রোডাকশনের তরফে এমন আবেদন এসেছিল। কিন্তু আসমুদ্রহিমাচল সেই বার্তা শুনবে; এটা ধারণা ছিল না।"

তিনি বলেছেন; "রেকর্ড করার গে আমাকে বলা হয়েছিল; যত্ন নিয়ে একটু ভারি গলায় কথাগুলো বলতে হবে। সেভাবেই আমি রেকর্ড করেছি, কিন্তু তাঁর প্রভাব এত সুদূরপ্রসারী ভাবিনি।" ভেবেছিলাম হয়তো স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়াতে রেকর্ড করা হচ্ছে এই ভয়েস। কিন্তু গোটা একটা সঙ্কটকালে আমার ভয়েস দেশকে সতর্ক করবে; এটা সত্যি আপনা দের বিষয়। সাক্ষাৎকারে এমনটাও জানিয়েছেন তিনি।

ভিডিও: করোনা সংক্রমণ রোধে আপনাকে সতর্ক করা ফোনের কলার টাউনে নেপথ্য শিল্পী যশলিন ভাল্লার সাক্ষাৎকার শুনুুন।

.