This Article is From Mar 12, 2020

"মহারাজের সঙ্গেই আছি": মধ্যপ্রদেশের বিদ্রোহী বিধায়কদের বার্তায় অস্বস্তিতে কংগ্রেস

Madhya Pradesh Government Crisis: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগদানের পরেই কংগ্রেস জানিয়েছিল যে সিন্ধিয়া-ঘনিষ্ঠ বিধায়করা যাচ্ছেন না গেরুয়া দলে

Rebel Congress MLAs; জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের পরেই বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের ওই ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে আসে

হাইলাইটস

  • জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে আছেন তাঁরা, বার্তা বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কদের
  • এই ভিডিও বার্তা অস্বস্তিতে ফেলেছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস শিবিরকে
  • নিজের ইচ্ছেতেই দল ছেড়েছেন তাঁরা, বলেন ওই বিধায়করা
ভোপাল/ নয়া দিল্লি:

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের একসময়ের অন্যতম স্তম্ভ, যিনি হাতের দল থেকে পদ্ম শিবিরে যাওয়ায় একরকম টালামাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কমল নাথ সরকারের অন্দরে। কারণ কংগ্রেসের প্রাক্তন ওই জনপ্রিয় নেতার (Jyotiraditya Scindia) দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার সময় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন আরও ২১ জন। আপাতত এই বিধায়করা গেরুয়া দলে নাম না লেখালেও যে কোনও মুহূর্তে এমন কিছু ঘটতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগদানের পরেই কংগ্রেস জানিয়েছিল যে সিন্ধিয়া-ঘনিষ্ঠ বিধায়করা যাচ্ছেন না গেরুয়া দলে। কিন্তু তাঁদের সেই দাবির মুখে চুনকালি লেপে দিয়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের (Rebel Congress MLAs) বার্তা "মহারাজের সঙ্গেই আছি", আর এতেই চরম অস্বস্তিতে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস।

"দল চাইলে সমাধান করা যেত", জ্যোতিরাদিত্যের কংগ্রেস ছাড়া নিয়ে বললেন সচিন পাইলট

এটা বাস্তব যে, জ্যোতিরাদিত্য অনুগামী বিধায়কদের ইস্তফা গৃহীত হলে মধ্যপ্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে কংগ্রেস, ফলে পড়ে যাবে কমল নাথ সরকার (Madhya Pradesh Government Crisis)। যদিও মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের দাবি যে তিনি বিধানসভায় নিজের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন। ঠিক এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক সংখ্যা একটা বড় ফ্যাক্টর দুই দলের কাছেই। সেই জন্যে বিজেপি এবং কংগ্রেস দলীয় বিধায়কদের আগলে রাখার জন্যে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের বাইরে নিয়ে গেছে বলে খবর। জানা গেছে, বিজেপি তাঁদের বিধায়কদের গুরগাঁওয়ের একটি পাঁচতারা রিসর্টে এনে রেখেছে, অন্যদিকে কংগ্রেস তাঁদের বিধায়কদের নিয়ে গিয়ে রেখেছে রাজস্থানের জয়পুরে।

এর আগে কমলনাথের সহযোগীরা দাবি করেছিলেন যে, যে ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তাঁদের আসলে বাধ্য করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্যই। কর্নাটকের অন্যতম প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমারও বলেছিলেন যে তিনি বেঙ্গালুরুতে গিয়ে বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছেন তাঁরা বেশিরভাগই সমস্যা মিটিয়ে ফিরে আসতে প্রস্তুত। যদিও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সমর্থকরা বরাবরই দাবি করে এসেছেন যে বিদ্রোহী বিধায়করা তাঁর পক্ষেই আছেন, এমনকী এই দাবির সপক্ষে একাধিক ভিডিও প্রকাশ করেন তাঁরা।

"এটা শুধু টার্নিং পয়েন্ট নয়": বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

এরই মধ্যে বিজেপি আবার ৬ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রীর ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে যাতে তাঁরা বলেছেন যে কংগ্রেস দল স্বেচ্ছায় ছেড়েছেন তাঁরা এবং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেই সমর্থন জানাচ্ছেন তাঁরা। তুলসী সিলাওয়াত, গোবিন্দ সিং রাজপুত, মহেন্দ্র সিং সিসোদিয়া, ইমারতী দেবী, প্রভুরাম চৌধুরী ও প্রদ্যুম্ন সিং তোমার, এই ৬ বিধায়কের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ইমারতি দেবী একটি ভিডিওতে বলেন, "মহারাজ (জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া) যদি আমাকে বলেন আমাকে একটি কুয়োয় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, তবে আমি স্বেচ্ছায় মহারাজের জন্যে তাই করব"।

মহেন্দ্র সিং সিসোদিয়া বলেন: "জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কারও সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। বরং কংগ্রেস ও কমল নাথজি তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সিন্ধিয়ার কঠোর পরিশ্রমের কারণেই ১৫ বছর পর মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল ... তাই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যেখানে যাবেন আমরা সেখানেই যাব। আমরা ঐক্যবদ্ধ।"

তৃতীয় বিধায়ক প্রভুরাম চৌধুরী বলেন: "আমরা ২২ জন বিধায়ক আজও একসঙ্গে আছি এবং আগামীকালই একসঙ্গেই থাকব। আমরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।"

"আমি এখানে আমার নিজের ইচ্ছায় এসেছি, কেউ আমাকে বাধ্য করেনি", বলেন বিধায়ক রক্ষা সিরোনিয়া। 

.