This Article is From Dec 16, 2019

প্রকাশ্যে প্রতিবাদ, জামিয়ার পাশে কলকাতার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়

শুধুই শিক্ষার্থীরা নন। এদিন প্রতিবাদী সমাবেশে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনও। প্রকাশ্যে তাঁরা প্রতিবাদ জানান দিল্লি প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

প্রকাশ্যে প্রতিবাদ, জামিয়ার পাশে কলকাতার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিবাদী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনও

কলকাতা:

দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া চত্বরের ভেতরে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে পৃথক মিছিল বের করল যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। Jadavpur Universityর কলা বিভাগের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক Debraj Debnath জানান, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ৩০০ আন্দোলনকারী চত্বরের ভেতরে প্রতিবাদী সমাবেশে অংশ নেন। জামিয়া কাণ্ডে ধিক্কার জানিয়ে প্ল্যাকার্ড দেখান তাঁরা। স্লোগান দেন দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।

নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় হিংসার আশ্রয় না নেওয়ার আর্জি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

খবর, শুধুই শিক্ষার্থীরা নন। এদিন প্রতিবাদী সমাবেশে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনও। প্রকাশ্যে তাঁরা প্রতিবাদ জানান দিল্লি প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সমর্থন জানান জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের। পরে মিছিলেও পা মেলান সবাই।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এর পড়ুয়া Ushashi Pal বলেন, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার সবার রয়েছে। কণ্ঠরোধ করতে যেভাবে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ তা সত্যিই নিন্দার যোগ্য। 

“নাগরিকত্ব বিলকে সুযোগ দিন, মানিয়ে নিন”: পড়ুয়াদের কাছে আবেদন অমিত শাহের

একই ভাবে কলেজ স্ট্রিটে ক্যাম্পাসের ভেতর প্রতিবাদ সমাবেশ করেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও। বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য সায়ন চক্রবর্তী বলেন, "আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর এই অত্যাচারের সমর্থন করছি না। একই সঙ্গে মানব না নাগরিকত্ব আইনও।"

গত সন্ধেয় সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিল্লি পুলিশের ওপরমহল থেকে জানানো হয়েছে, কথা ছিল ১০০ থেকে ২০০ জন ছাত্র আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই এই প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন। আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়েন বহিরাগত ছাত্র এবং জনতা। দেখতে দেখতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চত্বরের বাইরে। খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে পুলিশ-শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এরপরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁটবৃষ্টি করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভ থামানোর নামে পুলিশি তাণ্ডব চালিয়েছে দিল্লি দক্ষিণ প্রশাসন। গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্র এবং কর্মীরাও। 

"ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হোক": উঠল দাবি

খবর, শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে এরপর লাঠিচার্জের সঙ্গে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। শহরে যাতে হিংসা ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ওখলা আন্ডারপাস থেকে সরিতা বিহারের যান চলাচল। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয় শহরের নিউ ফ্লেন্ডস কলোনি। বিক্ষোভের ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয় দিল্লি-মথুরা রোড, বদরপুর, আশ্রমচকেরও। 

.