This Article is From Aug 08, 2020

"চোখের সামনে ভাগ হয়ে গেল বিমান...", সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন এক আহত যাত্রী

অভিশপ্ত ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন তিনি। আপাতত কোঝিকড়ের এক নার্সিংহোমে তিনি চিকিৎসাধীন

আবহাওয়াই এই দুর্ঘটনার কারণ: প্রত্যক্ষদর্শী

যত সময় গড়িয়েছে, তত ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বেরোচ্ছে মর্মান্তিক কাহিনী। ঠিক কী করে টেবিলটপ রানওয়েতে পিছলে খাদে পড়ল সেই বিমান? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এল এক প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি। অভিশপ্ত ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন তিনি। আপাতত কোঝিকোড়ের এক নার্সিংহোমে তিনি চিকিৎসাধীন। সংবাদসংস্থা এএনআইকে ওই ব্যক্তি বলেন, "বিমান যখন প্রচন্ড শব্দে নীচে নামছে, আমরা ভারসাম্য রাখতে সিটের হাতল চেপে ধরি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চোখের সামনে ভাগ হয়ে গেল বিমান। কেউ বলছেন, দুই পাইলট মারা গিয়েছে। কেউ বলছেন শিশু, মহিলারাও মারা গিয়েছেন। সকালে কাগজে দেখলাম ১৮ জন মারা গিয়েছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এর জন্য দায়ী।"

তিনি বলেছেন, "আমার আশপাশে সবাই কাঁদছিল। যদি এই বিমানবন্দরে নামতে সমস্যা থাকতো, তাহলে অন্য কোথাও নামতো। চোখের সামনে যা দেখেছি স্বপ্নের মতো লাগছে। হয়তো এটাই ভগবানের ইচ্ছা ছিল।"

পর্যাপ্ত জ্বালানি নিয়েই কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণ করছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই কথা বললেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনা নিয়ে একাধিক তত্ত্ব রটছে। সেই রটনা থেকে মুখ ফিরিয়ে এদিন ধৈর্য ধরতে বার্তা পাঠান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, "আমি এয়ার ইন্ডিয়ার সিএমডি'র সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশ্ন করেছি পাইলটের কাছে কতটা জ্বালানি ছিল? উত্তর ছিল, পর্যাপ্ত। অর্থাৎ অন্য কোথাও এই বিমান অবতরণ করানোই যেত। কিন্তু আমাদের এখন অপেক্ষা করতে হবে। তদন্ত শেষ করতে দিতে হবে।" সংবাদমাধ্যমের একাংশকে দুষে তিনি বলেছেন, "সংবাদে একাধিক তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে উনি দু'বার অবতরণের উদ্যোগ নিয়েছিল। বৃষ্টি বা হাওয়া, সেই উদ্যোগে বাধা দিয়েছে। আসল তত্ত্ব কোনটা? সেটা তদন্ত সাপেক্ষ।"

এদিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংবাদমাধ্যমকে এই মন্ত্রী আরও বলেছেন, "মর্মাহত। যে ১৮ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে আমরা সমব্যাথী। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ ক্ষতিপূরণ আর গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। লঘু জখমের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।"

Helplines: Air India Express - 1800 2222 71, Airport Control Room - 0483 2719493, Malappuram Collectorate - 0483 2736320, Kozhikode Collectorate - 0495 2376901
 

.