রবিবার থেকে নেটিজেনদের আক্রমণের মুখে করণ জোহর। সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার জন্য ঘুরিয়ে কে-জো'কে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল। যদি ও সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি ড্রাইভের প্রযোজক সেই করণ জোহর। করণ জোহরের স্বজনপোষণ বা নেপোটিজমের জন্য অনেক প্রতিভার ভবিষ্যত নষ্ট হয়েছে। এমন দাবি তোলা হয়েছে। তারপর থেকে নাকি নিজের ফলোয়ার সংখ্যা কমাতে শুরু করেছেন এই প্রযোজক-পরিচালক (Producer-Director Karan Johar)। তাঁর টুইটার ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, মাত্র আটজনকে ফলো করছেন করণ জোহর। এই আটজনের মধ্য রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী, অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, আলিয়া ভাট। আর রয়েছে তাঁর ধর্মা প্রোডাকশনের তিনটি টুইটার অ্যাকাউন্ট। টিনসেল টাউনে কান পাতলে খবর, যে চারজন তারকার টুইটার ফলো করছেন করণ (Karan Johar following Accounts) তাঁর মধ্যে তিনজন কোনওরকম পরিচিতি ছাড়াই বলিউডে প্রতিষ্ঠিত। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান আর অক্ষয় কুমার। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য শাহরুখ খানের সঙ্গে করণ জোহরের পেশাদার সম্পর্কের বাইরেও একটা পারিবারিক সম্পর্ক আছে। টুইঙ্কল খান্নার পরিবারের সঙ্গে করণ জোহরের সেই শৈশব থেকে সম্পর্ক। আর করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের ব্যানারে আলিয়া মাটির অভিষেক হলেও, তাঁর এখন ভালো বন্ধু।
করণ জোহরের প্রযোজনা সংস্থা ফিরিয়েছিল নবাগত আয়ুষ্মান খুরানাকেও। ২০০৭ সালে বলিউডের এই কনটেন্ট কিংয়ের মুখের উপর বলেছিল, আমরা শুধু তারকাদের সঙ্গে কাজ করি। ২০১৫-তে আয়ুষ্মান খুরানা একটা বই প্রকাশ করেছিলেন। নাম ক্র্যাকিং দা কোড: মাই জার্নি ইন বলিউড। সেই বইতে এমন প্রত্যাখাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ আছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর সেই প্রসঙ্গ এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। সেই বইতে আয়ুষ্মান লিখেছেন, "ভিজে থাকাকালীন একবার করণ জোহরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। আমার উচ্চাকাঙ্খার কথা জানিয়ে ওর থেকে নম্বর চেয়েছিলাম। করণ জোহর আমাকে নম্বরও দিয়েছিল। এরপর ২০০৭ সালে একবার সুযোগের জন্য ওর প্রযোজনা সংস্থায় ফোন করি। তিন তিনবার আমাকে বলা হয়েছিল নানা কারণে করণ জোহর ব্যস্ত। চতুর্থ দিন বলা হয় আমরা শুধু তারকাদের সঙ্গে কাজ করি।"