This Article is From Jan 30, 2020

জামিয়ায় গুলিতে আহত তরুণকে রক্তাক্ত হাতে পেরোতে হল ব্যারিকেড

শাদাব একজন গায়ক ও ভয়েস ওভার শিল্পীও। তাঁর বন্ধুদের কথায়, তিনি ওই বন্দুকবাজকে থামানোরই চেষ্টা করছিলেন। তখনই গুলি লাগে তাঁর হাতে।

জামিয়ায় গুলিতে আহত তরুণকে রক্তাক্ত হাতে পেরোতে হল ব্যারিকেড

Jamia Firing: আহত ছাত্র শাদাব একজন গায়ক ও ভয়েস ওভার শিল্পী.

হাইলাইটস

  • জামিয়ার বন্দুকবাজের গুলিতে জখম তরুণের নাম শাদাব ফারুখ
  • তাঁর বাম কবজিতে গুলি লেগেছে
  • অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ
নয়াদিল্লি:

দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Jamia University) চত্বরে আতঙ্ক। বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে এক ব্যক্তি পড়ুয়াদের (Jamia Firing) দিকে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে এগিয়ে আসে। ওই ব্যক্তি, যে নিজেকে রামভক্ত গোপাল বলে পরিচয় দিয়েছে, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলে, "এই নে আজাদি"। সোশাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে এমনটাই দেখা গিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জখম এক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তেজনার জেরে যাতে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে, তাই ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে রুট। জখম তরুণের নাম শাদাব ফারুখ। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার ছাত্র।

শাদাব একজন গায়ক ও ভয়েস ওভার শিল্পীও। তাঁর বন্ধুদের কথায়, তিনি ওই বন্দুকবাজকে থামানোরই চেষ্টা করছিলেন। তখনই গুলি লাগে তাঁর হাতে। তাঁকে এইমসের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর বাম কবজিতে গুলি লেগেছে।

Jamia-র প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে গুলি, স্লোগান উঠল "এই নে আজাদি"

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড টপকেই হাসপাতালে যেতে হচ্ছে শাদাবকে। তাঁর হাত ভেসে যাচ্ছে রক্তে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জামিয়া মিলিয়ার এক অর্থনীতির ছাত্রী আমনা আসিফ বলেন, ‘‘আমরা হোলি ফ্যামিলি হাসপতালের দিকে যাচ্ছিলাম। সেখানে পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছে। হঠাৎই এক বন্দুকবাজ সেখানে এসে গুলি চালায়। একটি বুলেট আমার এক বন্ধুর হাতে এসে লাগে।''

জামিয়ায় প্রতিবাদীদের দিকে গুলি চালানোর আগে ফেসবুকে লাইভ অভিযুক্তর

e0dvmdoo

হায়দরাবাদের রাজনীতিবিদ আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি পুলিশরকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘জামিয়া মিলিয়ায় গত মাসে যে বাহাদুরি আপনারা দেখিয়েছিলেন তার কী হল? যদি অসহায় দ্বিচারিতার কোনও পুরস্কার থাকত, তাহলে আপনারা তা প্রতিবার জিততেন।'

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

এদিন দুপুরে কালো জ্যাকেট ও সাদা পাজামা পরা রামভক্ত গোপালকে বন্দুক হাতে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের ওই অঞ্চলে বহু পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ওখানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ প্রদর্শনে একজোট হয়েছেন প্রতিবাদী পড়ুয়ারা।

7oveaka4

তথ্য সহায়তা: (পিটিআই)

.