This Article is From Mar 10, 2020

বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন "অধরা" জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া? উদ্বেগে কংগ্রেস

Madhya Pradesh crisis: অভিযোগ, ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ককে চার্টার্ড বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে গেছেন জ্যোতিরাদিত্য, ফলে দোলাচলে কমল নাথ সরকার

Kamal Nath: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার জন্যেই সঙ্কটে তাঁর সরকার, এমনটাই মনে করছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী

হাইলাইটস

  • সঙ্কটে পড়তে চলেছে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার
  • ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ককে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
  • গুঞ্জন, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য
ভোপাল: তবে কি এবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া? মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহানের কথায় তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে বলে খবর। অভিযোগ, কংগ্রেস সাংসদ সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) তাঁর ঘনিষ্ঠ ৬ জন মন্ত্রী সহ মোট ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ককে বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে চার্টার্ড বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে গেছেন। এর ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সঙ্কটে ভুগছে মধ্যপ্রদেশের বর্তমান কমল নাথ সরকার (Kamal Nath)। কংগ্রেস শিবিরে যখন এই বিষয়টি (Madhya Pradesh crisis) নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে তখনই বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, "এই ঘটনা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি যে আমরা সরকার ফেলে দিতে আগ্রহী নই"। তবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেসের কোনও প্রবীণ নেতার সঙ্গেও কথা বলতে রাজি হননি বলে জানা গেছে। তাঁর এই সিদ্ধান্ত রাজনীতির হাওয়ায় গুঞ্জন তৈরি করেছে যে এবার বোধহয় "হাত" ছেড়ে "পদ্ম" শিবিরে আশ্রয় যোগ দিতে চলেছেন তিনি।

দেখুন এই বিষয়ে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  1. জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তাঁরই তত্ত্বাবধানে মধ্যপ্রদেশ সরকারের ৬ জন মন্ত্রী সহ মোট ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ককে বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে চার্টার্ড বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  2. কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত তাঁরা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তিনি বলেন, "আমরা সিন্ধিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে চলেছি কিন্তু খবর শোনা যাচ্ছে যে তিনি নাকি সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত, সুতরাং তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।"

  3. ২৩০ সদস্যের বিধানসভায় কমলনাথ সরকার ১২০ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েন। রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্যে প্রয়োজনীয় ১১৬ জন সাংসদের সমর্থনের থেকে মাত্র ৪ জনের সমর্থন বেশি ছিল মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের পক্ষে, কিন্তু এই ঘটনায় টালমাটাল সেই সরকার। ১১৪ জন কংগ্রেসের, ২ জন বিএসপির, ১ জন সমাজবাদী পার্টির এবং ৪ জন নির্দল বিধায়ক তাঁর পক্ষে সমর্থন দিয়েছিল। এদিকে বিজেপির পক্ষে সেই সময় ১০৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় এখন ২টি আসন বর্তমানে শূন্য রয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে যদি ১৭ জন বিধায়কের সমর্থন হারায় কংগ্রেস তাহলে কর্নাটকের পর থেকে দ্বিতীয় রাজ্যও হাতছাড়া হবে হাতের দলের।

  4. এর আগে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের একটি সূত্র এনডিটিভিকে জানায়, সিন্ধিয়াকে মনোনীত প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভায় পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছিল। পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠ বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী তুলসী সিলাওয়াতকে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান পদে বসানো হতে পারে। তবে এই খবরের কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা মেলেনি।

  5. এদিকে কমল নাথ ইঙ্গিত দেন যে তিনি মন্ত্রিসভা পুনর্নির্মাণ করতে ফের লড়াই করবেন। সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দেখা যায় ২০ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন । সংবাদ সংস্থা এএনআই কমল নাথকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, "আমি এই সমস্ত লোকেদের সফল হতে দেব না যারা মাফিয়ার সহায়তায় সরকারের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, মধ্যপ্রদেশের মানুষের সমর্থন আমার কাছে আছে"।

  6. এদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নাকি গেরুয়া দলে যোগ দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছেন। ইতিমধ্যেই নাকি এই বিষয়ে সক্রিয়তা দেখা গেছে পদ্ম শিবিরে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং মোরেনার সাংসদ নরেন্দ্র সিং তোমার অমিত শাহের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ নিয়ে বৈঠকে বসেন বলে খবর। বিজেপি তার বিধায়কদের ভোপালে নিজেদের সমর্থনের পক্ষে শক্তি প্রদর্শনের জন্য ডেকেছে। সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে ঠিক হয়েছে শিবরাজ সিং চৌহানকে বিধায়ক দলের নেতা হিসাবে বেছে নেওয়া হতে পারে।

  7. বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতারা বলছেন, যে দ্রততার সঙ্গে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দলের নেতাদের বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি ভাঙনেরই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর ফিরে আসার কোনও জায়গা সম্ভবত নাও থাকতে পারে মধ্যপ্রদেশে, এমন আশঙ্কাও করছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতারা।

  8. এমনিতেই দলের বিধায়কদের নিয়ে সঙ্কটে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এর মধ্যে আবার এমন খবরও ছড়িয়েছে যে দিল্লিতে নাকি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এই খবরে আরও আশঙ্কা ছড়িয়েছে কমল নাথ শিবিরে।

  9. তবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পারিবারিক ইতিহাসে কিন্তু বিজেপি যোগের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়া কংগ্রেসের পোড়খাওয়া নেতা হিসাবে নিজেকে তুলে ধরলেও, তাঁর ঠাকুরমা বিজয়রাজে কিন্তু বিজেপির সদস্য ছিলেন। জ্যোতিরাদিত্যের দুই কাকিমাও বিজেপিতে রয়েছেন।

  10. ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। ১৫ বছর পরে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের জয়ের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় তিনি মাত্র ২৩ জন বিধায়কদের সমর্থন পেয়েছেন। ফলে সেই সময় কমল নাথ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।



Post a comment
.