This Article is From Jun 16, 2019

জঙ্গি ডেরায় ভারত-মায়ানমারের যৌথ হানা সীমান্তে, ধ্বংস বহু ঘাঁটি

জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারত ও মায়ানমারের সেনার যৌথ আক্রমণ সীমান্ত এলাকায়। ১৬ মে থেকে শুরু হয়েছে অপারেশন।

জঙ্গি ডেরায় ভারত-মায়ানমারের যৌথ হানা সীমান্তে, ধ্বংস বহু ঘাঁটি

জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারত ও মায়ানমারের সেনার যৌথ আক্রমণ সীমান্ত এলাকায়। ধ্বংস বহু ঘাঁটি।

হাইলাইটস

  • জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারত ও মায়ানমারের সেনার যৌথ অপারেশন।
  • মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অসমের বিভিন্ন জঙ্গি দলের ঘাঁটিতে হানা।
  • বহু ক্যাম্প ধ্বংস করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি:

জঙ্গি (Terrorist) ঘাঁটিতে ভারত (India) ও মায়ানমারের (Mayanmar) সেনার যৌথ আক্রমণ সীমান্ত এলাকায়। ১৬ মে থেকে শুরু হয়েছে অপারেশন। মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অসমের বিভিন্ন জঙ্গি দলের ঘাঁটিতে তারা হানা চালিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার। ‘অপারেশন সানরাইজ'-এর প্রথম পর্যায় ছিল তিন মাস আগে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে। সেবার উত্তর-পূর্ব জঙ্গি দলগুলির ঘাঁটিকে ধ্বংস করা হয়। জঙ্গি দমনে ভারতের অন্যতম কৌশলী সঙ্গী মায়ানমার। নাগাল্যান্ড, মণিপুর-সহ ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের রাজ্যগুলির ১৬৪০ কিমি এলাকায় অপারেশন চালিয়েছে তারা। সীমান্তের সুরক্ষায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর একত্রিত হয়ে লড়াই চালানোর ব্যাপারে জোর দিয়েছিল ভারত। 

মর্মান্তিক ফাদার্স ডে: পড়া বন্ধ করতে মেয়েকে ছুরি দিয়ে কোপাল বাবা!

সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ‘অপারেশন সানরাইজ-২'-তে দুই দেশের সেনা মিলে পরিকল্পনা করে যে ক'টি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়েছিল সেগুলি হল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (KLO), দ্য NSCN (খাপলাং), দ্য ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম (I) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বোরোল্যান্ড (NDFB)।

তারা জানিয়েছে, অন্তত ৬ ডজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বহু ক্যাম্প ধ্বংস করা হয়েছে। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, অপারেশনের তৃতীয় পর্যায়ও সংগঠিত হবে গোয়েন্দাদের সূত্র পেলে ও পরিস্থিতি বুঝে।

ভারতীয় আর্মি ছাড়াও অসম রাইফেলের বাহিনীও অপারেশনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৫ সালের জুন মাসে NSCN(K) জঙ্গি দলের বিরুদ্ধে আর্মির তরফে একটি অপারেশন চালানো হয় ভারত-মায়ানমার সীমান্তে। মণিপুরে ১৮ জন সেনা জঙ্গি হানায় শহিদ হওয়ার ক'দিন পরেই ওই অপারেশন সংগঠিত হয়েছিল। 

তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত গ্রেফতার ছত্তিশগড়ে

‘অপারেশন সানরাইজ'-এর প্রথম পর্যায়ে সেনার লক্ষ্য ছিল আরাকন আর্মির সদস্যদের দিকে। এই দলটি মায়নমারের। ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রবেশপথ হিসেবে কালাদান মাল্টি-মডেল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রোজেক্টকে দেখা হচ্ছিল। সেই প্রজোক্টের বিরোধিতা করেছিল আরাকান আর্মি।

২০০৮ সালে ভারতের সঙ্গে মায়ানমারের চুক্তি হয় ওই প্রোজেক্টের ব্যাপারে। ওই প্রোজেক্ট সফল হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মিজোরামের সঙ্গে মায়ানমারের রাখিন রাজ্যের সিত্তি বন্দরের সংযোগ তৈরি হত। ভারতের দিক দিয়ে পরিকল্পনা ছিল আইজল-সাইহা জাতীয় সড়ককে ৯০ কিমি প্রসারিত করা জোরিনপুই-এর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত।

নিরাপত্তা সংস্থার মতে, উত্তর-পূর্বে মায়ানমারের দিকে ৫০টিরও বেশি জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে।

.