This Article is From Feb 28, 2019

Exclusive: উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনকে চিঠি কার্গিল যুদ্ধে বন্দি পাইলট কে নচিকেতার

১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের হাতে বন্দি হওয়া ভারতীয় বায়ুসেনার আরেক পাইলট কে নচিকেতা তাঁর কমরেডের উদ্দেশে লিখলেন একটি হৃদয়স্পর্শ করা চিঠি।

Exclusive: উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনকে চিঠি কার্গিল যুদ্ধে বন্দি পাইলট কে নচিকেতার

কার্গিল যুদ্ধ চলাকালীন ২৬ বছর বয়সী কে নচিকেতাকে ধরেছিল পাকিস্তানি সেনা। (ফাইল চিত্র)

(শুক্রবার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে দেবে পাকিস্তান- এই খবর আসার আগে চিঠিটি লেখা হয়)

গোটা দেশ যখন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের পাকিস্তানের হেফাজত থেকে নিরাপদে ফেরার জন্য প্রার্থনা করছে, সেই সময়ই ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের হাতে বন্দি হওয়া ভারতীয় বায়ুসেনার আরেক পাইলট কে নচিকেতা তাঁর কমরেডের উদ্দেশে লিখলেন একটি হৃদয়স্পর্শ করা চিঠি। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময় গ্রুপ ক্যাপ্টেন কম্বমপতি নচিকেতা বন্দি হন পাকিস্তানি সেনার হাতে। তাঁকে রাওয়ালপিন্ডিতে আটকে রাখে পাকিস্তান। আট দিন বাদে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার পাইলট হিসাবে কাজ করেন তিনি।

উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের উদ্দেশে একটি বার্তা দিলেন তিনি। যা NDTV এক্সক্লুসিভ।

আগামিকাল ছাড়া হবে ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটকে, পাক-সংসদে জানালেন ইমরান

“প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মানুষকেই নিজেদের সেরাটা দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে দেশের জন্য লড়াই করতে হয়। অভিনন্দনও এই কাজটিই করছিলেন। নিজের দায়িত্বপালন করছিলেন। সেই সময়ই ধরা পড়ে যান তিনি। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, তাঁর সঙ্গে একজন সেনা অফিসারের মতোই সম্মান দিয়ে ব্যবহার করতে হবে এবং ভারতে নিরাপদে ফিরিয়ে দিতে হবে।

আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, তাঁর ঘরে ফেরার জন্য ভারত সরকার ও বারতীয় বায়ুসেনা আমাদের প্রতিবেশি দেশটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আলোচনা করে চলেছে।

যুদ্ধ নয়, দুই দেশ এবার নিজেদের মধ্যে একটু কথা বলুক: শহিদ জওয়ান বাবলু সাঁতরার স্ত্রী

আমার প্রার্থনা ও শুভেচ্ছা, আর পাঁচজন ভারতীয়ের মতোই, এই মুহূর্তে রয়েছে অভিনন্দনের সঙ্গে। তাঁর পরিবারের এই প্রবল বিপদের সময় আমি নিজের সমস্তটা দিয়ে তাঁদের পাশে রয়েছি। উনি এখন সুস্থভাবে ঘরে ফিরে আসেন কি না, সেটাই যে কেবল পরিজনদের মাথায় ঘুরছে, তা আমি আন্দাজ করতে পারি।

অবিনন্দন একজন সাহসী ও দক্ষ পাইলট। যাঁর জন্য গোটা দেশ আজ গর্ব অনুভব করছে। আমি নিশ্চিত তিনি খুব শীঘ্রই নিজের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের কাছে ফিরে আসবেন এবং তারপর আবার যখনই নিজের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার দায়িত্ব এসে পড়বে, তা সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য উড়ে যাবেন আকাশে।

সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করুন, চিনের ধমক পাকিস্তানকে

খবরটিই সত্যিই দুশ্চিন্তার। তবে, আমরা তো এই ধরনের বিষয়ের সঙ্গে যুঝতে পারার জন্যও প্রশিক্ষণ পাই। তাই, আমি নিশ্চিত যে, উনি আবার ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে।

ওরা যে অভিনন্দনের বন্দিত্বের কথা ঘোষণা করেছে, সেটি একটি ইতিবাচক সংকেত। উনি ফিরে আসবেন। একজন পাইলটের হৃদয়টি আসলে থাকে ককপিটেই। অভিনন্দন তাঁর হৃদয়ের কাছে ফিরে যেতে পারবে না, তা কি হয়।”   

.