This Article is From May 27, 2019

হারের পরে রাজস্থানে বাড়ছে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সংকট

রাজস্থানে ২৫ আসনবিশিষ্ট লোকসভায় একটিও আসন জিততে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। দলে চলছে অভ্যন্তরীণ সংকট।

কংগ্রেস জানিয়েছে তারা দলের ফলাফলের হিসেব খুঁটিয়ে দেখছে

নয়াদিল্লি:

রাজস্থানে (Rajasthan) ২৫ আসনবিশিষ্ট লোকসভায় (Lok Sabha Election 2019) একটিও আসন জিততে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। দলে চলছে অভ্যন্তরীণ সংকট। শোনা যাচ্ছিল, দু'জন মন্ত্রীর কাছ থেকে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, দলের খারাপ ফলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে একজন মন্ত্রী পদত্যাগ করতে চলেছেন। সমস্যা শুরু হয় গত শনিবার রাহুল গান্ধীর কড়া কথায়। তিনি সিনিয়র নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীদের বলেন, তাঁরা নিজেদের ছে‌লেকে ভোটে দাঁড় করিয়ে সেই প্রচারেই আটকে থেকেছেন। রাজ্যজুড়ে যে প্রচার করার কথা, সেটা করেননি। অবশ্য আজ কংগ্রেস জানিয়েছে, কারও ব্যক্তিগত ভূমিকা খতিয়ে না দেখে কার্যকরী কমিটি দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের দিকে নজর রেখেছে। কিন্তু মনে করা হচ্ছে রাহুল তাঁর কথায় বিদ্ধ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতকে, যাঁর ছেলে বৈভব গেহলত ভোটে দাঁড়িয়ে ঘরের কেন্দ্র যোধপুর থেকে পরাজিত হয়েছেন। 

 দলের দুই নেতাকে তাঁর বিকল্প খুঁজতে বললেন কংগ্রেস সভাপতি

অশোক গেহলত, যিনি ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে মেনে নেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তিনি সেটাকে ‘‘দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার'' বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাহুলের অধিকার রয়েছে ‘‘কংগ্রেস নেতাদের কোনও ভুলত্রুটি হলে সেটাকে তুলে ধরার''।

অবশ্য বাকি কংগ্রেস নেতাদের রেকর্ডও এবার খুব ভালো কিছু নয়। বিস্তারিত হিসেব থেকে দেখা যাচ্ছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজস্থানের ২০০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৮৫টিটেই এগিয়ে থেকেছে বিজেপি। শচীন পাইলটের লোকসভা কেন্দ্র সাওয়াল মাধোপুরে কংগ্রেস প্রার্থী নমো নারায়ণ মীনা বিজেপির সুখবীর জনপুরিয়ার কাছে ১.৯ লক্ষ ভোটে হেরেছেন।

রাজ্যের মন্ত্রী উদাই লাল অঞ্জনা ও রমেশ মীনা জানিয়েছেন দল এই হারের বিষয়টি খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করবে, যাতে রাজ্যের আগামি স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচনে দল ভালো ফল করতে পারে। 

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে বারাণসী থেকে সরব হলেন মোদী

সাংবাদিকদের উদাই লাল বলেন, ‘‘ফলাফল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। বিজেপির তোলা জাতীয়তাবাদের ইস্যুতে প্রভাবিত হয়েছেন ভোটাররা। আমাদের নেতারাও অনেক চেষ্টা করেছেন, কিন্তু জনতা গ্রহণ করেনি।''

এরই মধ্যে এক মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে। সেই অশোক গেহলতের ঘনিষ্ঠ লালচাঁদ কাটারিয়া। তবে তিনি সত্যিই পদত্যাগ করেছেন কিনা সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় যে প্রেস বিজ্ঞপ্তিটা ঘুরছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কাটারিয়া জানাচ্ছেন, দলের হারের পরে মন্ত্রী হিসেবে পদ আঁকড়ে পড়ে থাকাটা অনুচিত হবে। পাশাপাশি তাতে কাটারিয়া এও জানিয়েছেন, ‘‘এই পদত্যাগের সঙ্গে অন্য কোনও ফ্যাক্টর যুক্ত নয়।''

.