This Article is From May 27, 2019

ভোটে দলের ভরাডুবি, মধ্যাহ্নভোজ ত্যাগ করেছিলেন লালু!

১৯৯৭ সালে দল গঠনের পর থেকে এই প্রথমবার একটিও আসন পায়নি আরজেডি। দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আপাতত জেলেই আছেন লালু।

ভোটে দলের  ভরাডুবি, মধ্যাহ্নভোজ ত্যাগ করেছিলেন লালু!

রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

হাইলাইটস

  • ১৯৯৭ সালে দল গঠনের পর থেকে এই প্রথমবার একটিও আসন পায়নি আরজেডি
  • দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আপাতত জেলেই আছেন লালু
  • শরীর খারাপ হওযায় হাসপাতালে বসে দলের এই ফলাফল শুনেছেন তিনি
রাঁচি/ পাটনা:

লোকসভা নির্বাচনে (General Elections 2019)  লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবার শোচনীয় ফলাফল করেছে। ১৯৯৭ সালে দল গঠনের পর থেকে এই প্রথমবার একটিও আসন পায়নি আরজেডি। দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আপাতত জেলেই আছেন লালু। শরীর খারাপ হওযায় হাসপাতালে বসে দলের এই ফলাফল শুনেছেন তিনি। আর তারপর মধ্যাহ্নভোজ ত্যাগ দিয়েছিলেন লালু। সূত্রের খবর,ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়া থেকে দু'দিন দুপুরের খাবার খাননি দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। তাঁর এই আচরণে চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে থাকে। রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। 

‘শোচনীয়': গুরগাঁওয়ে মুসমিল ব্যক্তির উপরে আক্রমণের পরে বললেন গৌতম গম্ভীর

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি যদি খাওয়া-দাওয়া নিয়মিত না  করেন তাহলে শারীরিক জটিলতা তৈরি হবে এবং পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাবে। আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন তিনি। এমতাবস্থায় রবিবার তাকে চিকিৎসকদের তরফ থেকে খাবার খেতে অনুরোধ করা হয়। শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে অবগতও করা হয় তাঁকে। আর তারপর রাজি হন লালু। রক্তচাপ ছাড়াও কিডনি এবং মধুমেহ রোগের সমস্যাও রয়েছে তাঁর।

২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে জেলে রয়েছেন লালু।  মাঝে একবার বড় ছেলে তেজপ্রতাপের বিয়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। লোকসভা  নির্বাচনের আগে কিছু দিনের জন্য  মুক্তি চান তিনি। কিন্তু সিবিআইয়ের আপত্তিতে তা  খারিজ হয়ে যায়। তাঁর জায়গায় দলের নেতৃত্ব দেন ছোট ছেলে  তেজস্বী। কিন্তু প্রথম বড় পরীক্ষায় ব্যর্থ হন বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী। 

দলের দুই নেতাকে তাঁর বিকল্প খুঁজতে বললেন কংগ্রেস সভাপতি                        

 বিহারে এবার কি ফলাফল হয় তার  দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। তার একটা কারণ কংগ্রেস এবং লালুর দলের বিরোধী জোট। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিহারে এনডিএ-র অন্যতম শরিক রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়া বিরোধী জোটে সামিল হন। এরপর অনেকেই মনে করেন বিহারে জনতা দল ইউনাইটেড এবং বিজেপিকে ধাক্কা দেবে বিরোধীদের মহাজো।  কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল বিহারে বিরোধীরা কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। এই প্রথম নিজের ঘরে খাতাই খুলতে পারল না আরএলডি। আগামী বছরের  বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ফল বিজেপি- জেডিইউ জোটকে স্বভাবতই স্বস্তিতে রাখবে।বিহারে এখন জোট সরকার চালাচ্ছেন নিতিশ কুমার। কিন্তু সবচেয়ে বড় দল আরজেডি। লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় লালুর দলের। বিহারের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডেও শোচনীয় ফল করেছে দল। তাই মধ্যাহ্নভোজ ত্যাগ দিয়েছিলেন লালু।

.