This Article is From Mar 03, 2020

খুনে অভিযুক্ত সাসপেন্ড হওয়া আপ নেতা তাহির হুসেন নিখোঁজ, জানাল পুলিশ

দিল্লিতে সংঘর্ষের (Delhi Violence) ঘটনায় আইবি আধিকারিক অঙ্কিত শর্মার খুনের পর আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তাহির হুসেন (Tahir Hussain)

খুনে অভিযুক্ত সাসপেন্ড হওয়া আপ নেতা তাহির হুসেন নিখোঁজ, জানাল পুলিশ

Delhi violence: আইবি আধিকারিক অঙ্কিত শর্মা খুনের ঘটনায় তাহির হুসেনের নাম ওঠে

নয়াদিল্লি:

দিল্লিতে সংঘর্ষের (Delhi Clash) ঘটনায় আইবি আধিকারিককে খুনের অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া আম আদমি পার্টি নেতা তাহির হুসেনকে (Tahir Hussain) নিখোঁজ, তাঁকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানাল দিল্লি পুলিশ। গত সপ্তাহে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তর পূর্ব দিল্লিতে (Northeast Delhi) হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। আগাম জামিনের আবেদনও জানিয়েছেন আপ নেতা। এদিন একটি বিবৃতিতে দিল্লি পুলিশ জানায়, “অঙ্কিত শর্মার (Ankit Sharma) দেহ উদ্ধারের ঘটনায়...অভিযুক্ত হিসেবে তাঁর নাম রয়েছে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, এবং তিনি পলাতক।  তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে”। জাফরাবাদে নিজের বাড়ি সংলগ্ন একটি নালায় দেহ উদ্ধার হয়  আইবি আধিকারিক অঙ্কিত শর্মার, গত মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার সময় তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে।

বৃহস্পতিবার অঙ্কিত শর্মার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ হয়, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

অঙ্কিত শর্মার বাবা তথা আইবি আধিকারিক রবীন্দ্র শর্মা অভিযোগ করেন, ছেলেকে খুন করেছে তাহির হুসেনের অনুগামীরা। মারধরের পর ছেলেকে গুলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রবীন্দ্র শর্মা।

অভিযোগ অস্বীকার করে তাহির হুসেন জানান, তাঁর পরিবার এবং তিনি নিজে “২৪ তারিখে পুলিশের উপস্থিতিতে নিরাপদ জায়গায় চলে গিয়েছিলেন”।

সংঘর্ষের যে ভিডিওতে পাথর এবং আগুনে বোমা ছোঁড়াছুঁড়ি হতে দেখা গিয়েছে, সেখানে থাকার কথা স্বীকার করে আপ নেতা তাহির হুসেন দাবি করেন, তিনি আক্রান্ত ছিলেন, আক্রমণকারী নন।

মঙ্গলবার তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা করে দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি জানায়, যতক্ষণণ পর্যন্ত না তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শেষ করে তিনি নির্দোষ প্রমাণ হচ্ছেন, ততক্ষণ সাসপেন্ড থাকবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার অভিযোগ নিয়ে সরব হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বলেন, “হিংসায় মদত দিলে, তিনি যে দলের, যেই হোন না কেন, রেয়াত করা হবে না”।

২৩ ফেব্রুয়ারি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজধানীর রাজপথ, হাতে লোহার রড, লাঠি, বন্দুক নিয়ে আস্ফালন করতে দেখা যায় দুষ্কৃতীদের, পুলিশে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে  অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর চলতে থাকে। দিল্লিতে হিংসায় অন্তত ৪৬ জনের প্রাণহানি হয় এবং শতাধিক আহত হন।

.