‘‘দয়া করে বলুন সরকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কী করছে’’, প্রশ্ন করেছেন সঞ্জয় রাউত।
হাইলাইটস
- রবিবার রাত ৯টায় সকলকে আলো জ্বালানোর আর্জি প্রধানমন্ত্রীর
- সেই আর্জিটে কটাক্ষ শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের
- ভারতে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আতঙ্ক
নয়াদিল্লি: রবিবার রাত ৯টায় ঘরের সব আলো নিভিয়ে ঘরের দরজা বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ৯ মিনিটের জন্যে মোমবাতি, প্রদীপ কিংবা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে একতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সকলে যে একসঙ্গে লড়ছেন তা বোঝাতেই এমনটা করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রীর এই আর্জিকে। জানালেন, ‘‘আশা করব ওঁরা নিজেদের বাড়ি পুড়িয়ে ফেলবেন না।'' তিনি টুইট করে এই কটাক্ষ করেন। তিনি লেখেন, ‘‘যখন জনতাকে বলা হয়েছিল হাততালি দিতে তখন তাঁরা রাস্তায় জড়ো হয়ে ড্রাম বাজিয়েছিল। আমি আশা করব এবার ওঁরা নিজেদের বাড়ি পুড়িয়ে ফেলবেন না। স্যার, প্রদীপ তো জ্বালাব। কিন্তু দয়া করে বলুন সরকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কী করছে।''
গত মাসে প্রধানমন্ত্রী সকলকে আহ্বান করেছিলেন, নিজেদের ব্যালকনি বা জানলায় দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে ও থালাবাটি বাজিয়ে এই পরিস্থিতিতেও যাঁরা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা দিয়ে চলেছেন তাঁদের উদ্দেশে সম্মান প্রদর্শন করার। তিনি আরও আর্জি জানিয়েছিলেন, কেউ যেন বাড়ি থেকে না বেরোন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন।
কোটি কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষকে দেখা যায় ‘জনতা কার্ফু' অমান্য করে রাস্তায় দল বেঁধে বেরিয়ে পড়তে।
‘জনতা কার্ফু'-র দু'দিন পরে রাত আটটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন দেশব্যাপী ২১ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের।
শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সব মানুষের প্রতি নতুন এক বার্তা দিলেন তিনি। ৫ এপ্রিল রবিবার, রাত ৯টায় ঘরের সব আলো নিভিয়ে ঘরের দরজা বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ৯ মিনিটের জন্যে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রী। ২৪ মার্চ দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন করার ঘোষণার ঠিক ৯ দিন পরে এটাই দেশবাসীর প্রতি তাঁর প্রথম বার্তা।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবাই করোনা ভাইরাসের ছড়ানো অন্ধকারকে একসঙ্গে চ্যালেঞ্জ জানাব আলোর শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে। লকডাউনে কেউ একা নেই। ১৩০ কোটি ভারতীয়র সম্মিলিত মহাশক্তি প্রতিটি নাগরিকের সঙ্গে রয়েছে।''
দেশে এখনও পর্যন্ত ২৩০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত ৫৬।