This Article is From Apr 08, 2020

লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্ত শনিবার? সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

Lockdown: মহারাষ্ট্র, কেরল সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে যেভাবে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে সেই সব বিষয় বিবেচনা করেই লকডাউন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত

লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্ত শনিবার? সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

Coronavirus Lockdown India: লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার জন্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যের অনুরোধ বিবেচনা করছে কেন্দ্র

হাইলাইটস

  • দেশ জুড়ে ২১ দিনের টানা লকডাউন চলছে, এটি চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত
  • এরপরেও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
  • শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করবেন নরেন্দ্র মোদি
নয়া দিল্লি:

লকডাউনের (Lockdown) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে, নাকি ১৪ এপ্রিলই ওই অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শনিবারই বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister Narendra Modi)। ওই দিনই লকডাউনের (Coronavirus Lockdown India) বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় সরকার। ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিনের জন্যে টানা লকডাউন চলছে দেশ জুড়ে। এই অচলাবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের কর্মসংস্কৃতি, ফলে ধুঁকছে অর্থনীতিও। অথচ করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে এই লকডাউন করা আবশ্যিকও ছিল। দেশের বেশিরভাগ মানুষের ঘরবন্দি দশার মধ্যেও ওই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা ঠিক হবে সে বিষয়েই রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শ চান নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে আলোচনা করতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বদলীয় বৈঠক করেন। কংগ্রেসের গুলাম নবী আজাদ, তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, বিএসপি নেতা এসসি মিশ্র, লোক জনশক্তি পার্টির চিরাগ পাসওয়ান, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং ডিএমকে নেতা টিআর বালু সহ আরও বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই বৈঠকে যোগ দেন।

গত সপ্তাহেও প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। করোনা ভাইরাসের দ্রুত বিস্তার রুখতে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী করা যায় সেই বিষয়েও পরামর্শ চেয়েছিলেন তিনি।

এখনও পর্যন্ত এদেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১৪৯ জনের, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাক্ষুসে ভাইরাসের শিকার ৩৫ জন, মোট আক্রান্ত ৫,১৯৪ জন। এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো এদেশে, ফলে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

স্কুল কলেজের ক্ষেত্রে লকডাউন আরও অন্তত ৪ সপ্তাহ বাড়ানোর ইঙ্গিত মন্ত্রীদের

ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, কেরল সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে যেভাবে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে সেই বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রেখে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছে। সূত্র বলছে, লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার জন্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যের অনুরোধ বিবেচনা করছে কেন্দ্র।

কিন্তু এভাবে দীর্ঘদিন লকডাউন জারি রাখলে দেশ চলবে কী করে, এই ভাবনাটিও মাথায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কেননা ইতিমধ্যেই এই লকডাউনের কারণে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখেছে দেশ, বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই বিষয়গুলোও এড়াতে পারছে না মোদি সরকার।

তবে এর মধ্যেই জানা গেছে যে আপাতত দেশের স্কুল এবং কলেজগুলি আগামী সপ্তাহে খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার এক বৈঠক করার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সুপারিশ করেন যে দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও চার সপ্তাহ বন্ধ রাখা উচিত। পাশাপাশি এই সময় যেকোনও ধরণের ধর্মীয় সমাবেশ এবং সভা-সমিতিও নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দেন মন্ত্রীরা।

ভারতে করোনায় মৃত্যু ১৪৯ জনের, গত ২৪ ঘণ্টায় শিকার ৩৫ জন, আক্রান্ত ৫,১৯৪

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ওই বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পরামর্শ দেওয়া হয়, আগামী ১৪ এপ্রিল বর্তমান লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও দেশের সমস্ত শপিংমল কমপক্ষে আরও চার সপ্তাহ বন্ধ থাকুক।

এদিকে যেভাবে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে মোদি সরকারের। দেশের যে রাজ্যগুলোতে সর্বাধিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর মিলেছে সেগুলি হল মহারাষ্ট্র (১০১৮ জন), তামিল নাড়ু (৬৯০ জন), দিল্লি (৫৭৬ জন), তেলেঙ্গানা (৩৬৪ জন) এবং কেরল (৩৩৬ জন)।

.