এর আগে চলতি সপ্তাহেই “৯ মিনিটের জন্য মোমবাতি জ্বালানোর” আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস অতিমারীর (Coronavirus Outbreak) বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াইয়ে সামিল হওয়ার বার্তা দিতে, এগিন দেশবাসীর সঙ্গে মোমবাতি জ্বালালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi )। জ্বলন্ত মোমবাতির সামনে দাঁড়ানো ছবিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সংস্কৃতে লেখা রয়েছে, “বাতির আলো নিয়ে আসুক পবিত্রতা, স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধতা, ক্ষতিকারক অনুভুতিগুলি ধ্বংস হোক, এই বাতির আলোয়”। গুজরাটে মোমবাতির আলো জ্বালাতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নবতিপর মা হিরাবেনকেও। তারপরেও, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াই উৎসবের আকার নেয়, শুধুমাত্র বাতি নয়, বাজি, হাততালি, শাঁখ বাজানো বহু মানুষ। এর আগে চলতি সপ্তাহেই “৯ মিনিটের জন্য মোমবাতি জ্বালানোর” আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভারতে ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ৫০৫, মোট আক্রান্ত ৩,৫৭৭: ১০টি তথ্য
শুক্রবার সকালে, একটি ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৫ এপ্রিল, রাত ৯টা, আমি আপনাদের থেকে ৯ মিনিট সময় চাইছি। আপনাদের বাড়ির সব আলো এই সময় নিভিয়ে রাখুন, মোমবাতি, প্রদীপ, অথবা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বেলে আপনাদের ব্যালকনি, দরজায় থাকুন”।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমাদের সবাইকে এক হতে হবে, করোনা ভাইরাসের অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে...এই অন্ধকার জয় করতে হলে, আমাদের সবাইকে আলো ছড়িয়ে দিতে হবে”। তাঁর কথায়, “তিনি বলেন, “লকডাউনে কেউ একা নন, ১৩০ কোটির সমবেত শক্তি রয়েছে সব নাগরিকের মধ্যে। আমাদের সবাইকে এই অন্ধকারের বিরুদ্ধে সবাইকে একযোগে লড়াই করতে হবে”।
এর আগে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে থাকা মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে হাততালি দিতে সামিল হয়েছিলেন সবাই, এদিনও সেই চিত্রই দেখা যায়।
করোনার বিরুদ্ধে একযোগে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে মোমবাতি জ্বলল দেশজুড়ে
ট্যুইটারে ছবি পোস্ট করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, ক্রিকেটার সুরেশ রায়না, রাজনীতিবাদ জেপি নাড্ডারা ছিলেন সেই তালিকায়। ট্যুইটারে ছবি পোস্ট করেন মহম্মদ কাইফ, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।.
ভারতে ২৪ ঘন্টারও বেশি সময়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ এরও বেশি, ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৫০০ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮৩ জন, চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ২৭৫ জনকে।