This Article is From Apr 29, 2020

ভারতে করোনা ভাইরাস প্রাণ কাড়ল ১,০০৭ জনের, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৩

Coronavirus: দেশে ওই মারণ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১,০০০ গণ্ডিও পার করে ফেলেছে, প্রতিদিনই হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঘটনা

ভারতে করোনা ভাইরাস প্রাণ কাড়ল ১,০০৭ জনের, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৩

COVID- 19: দেশে লাগাতার বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র

হাইলাইটস

  • দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, ৩১,০০০ গণ্ডি পেরলো সংক্রমণ
  • গত ২৪ ঘণ্টায় এদেশে মোট ৭৩ জনের প্রাণ কেড়েছে ওই রাক্ষুসে ভাইরাস
  • গত বছরের ডিসেম্বরে চিনের উহান থেকে এই মারাত্মক ভাইরাস ছড়ায় অন্যান্য দেশে
নয়া দিল্লি:

দেখতে দেখতে দেশে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus Pandemic) শিকার হয়ে গেলেন হাজারেরও বেশি মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনার (COVID- 19) মোট বলি হয়েছেন ১,০০৭ জন এবং ওই মারণ রোগে (Coronavirus India) আক্রান্তের সংখ্যা ৩১,০০০ গণ্ডিও পার করে ফেলেছে। সবচেয়ে বড় কথা, দিনে দিনে ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।গত ২৪ ঘণ্টায় এদেশে মোট ৭৩ জন মারা গেছেন, যা একদিনে মৃত্যুর সংখ্যার হিসাবে একটি নতুন রেকর্ড। তবে ধীরে ধীরে করোনা মুক্তও হচ্ছেন বহু মানুষ। সারা দেশে মোট ৭,৬৯৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বুধবার সকাল পর্যন্ত এই পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৫৬ শতাংশে। মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন যে গত তিন দিনে করোনা সংক্রমণের দ্বিগুণ বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এখন ১০.৯ দিন অন্তর এখন দ্বিগুণ হচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

এদিকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স মারফৎ একটি বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিছু কিছু জায়গায় লকডাউন আরও বাড়ার ইঙ্গিত দেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীরাও সহমত হন যে, করোনা হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো থেকে এখনই লকডাউন তোলা উচিত নয়। ফলে মনে করা হচ্ছে আগামী ৩ মে দেশ জুড়ে সর্বস্তরে জারি থাকা লকডাউন উঠলেও বহু এলাকাতে বহাল থাকবে কড়া বিধিনিষেধ। 

দিল্লিতে ওই মারণ ভাইরাস হানা দিল সিআরপিএফের (CRPF) ব্যাটেলিয়নেও। মঙ্গলবার ওই ব্যাটিলিয়নে এক জওয়ান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। জানা গেছে, মোট ৪৭ জন জওয়ানের দেহে COVID- 19 বাসা বেঁধেছে বলে প্রমাণ মিলেছে। পূর্ব দিল্লির ময়ূর বিহারে সিআরপিএফের ৩১ নম্বর ব্যাটেলিয়নে গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক জওয়ান করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই যে সব জওয়ানদের নমুনা পরীক্ষার ফল করোনা পজিটিভি এসেছে তাঁদের দিল্লির মান্দাওয়ালিতে কোয়ারান্টাইন করে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে বলে খবর। 

মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আরও ৭২৯ জনের দেহে করোনা ভাইরাস বাসা বাঁধার প্রমাণ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে মহারাষ্ট্রেই। উদ্ধব ঠাকরের রাজত্বে এই নিয়ে মোট করোনা আক্রান্ত ৯,৩১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে, এর ফলে ওই রাজ্যে করোনার শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হল মোট ৪০০ জনকে। তবে মহারাষ্ট্রে ওই রাক্ষুসে ভাইরাসের সঙ্গে তীব্র লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন মোট ১,৩৮৮ জন রোগী। 

এদিকে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পঞ্চম রাজ্যে হিসাবে COVID- 19 মুক্ত রাজ্য হয়েছে। ওই রাজ্যে যে দু'জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক হয় ত্রিপুরা। আক্রান্তদের সঙ্গে সঙ্গে কোয়ারান্টাইন করায় ছড়াতে পারেনি ওই রোগ। পাশাপাশি সেখানকার মানুষজন লকডাউনের কঠিন অনুশাসনও মেনে চলেছেন। ওই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যায় করোনা টেস্ট করা হয়েছে। 

.