Coronavirus Outbreak: এই মারণ ভাইরাসে ভারতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ১৪২ জন
হাইলাইটস
- ভারতে ক্রমশই ছড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস করোনা
- বর্তমানে এদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪২
- এই মারণ রোগের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন
নয়া দিল্লি: চিনের উহান প্রদেশ থেকে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের নানা দেশে। 'হু' জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা বিশ্বে নতুন করে প্রায় ১৪ হাজার করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। বর্তমানে মোট ১৬৭,৫১১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে বলেও জানিয়েছে ওই সংস্থাটি (WHO)। গত ২৪ ঘণ্টায় দুনিয়া জুড়ে মোট ১৩,৯০৩ টি নতুন করোনা আক্রান্তের (Coronavirus Outbreak) সংখ্যা নথিভুক্ত হয়েছে। গোটা দুনিয়ায় সামান্য সময়ের মধ্যেই মারা গেছে ৮৬২ জন, ফলে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬,৬০৬ জন। এদেশে COVID-19 এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪২-এ, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। বর্তমানে বিশ্বের যে সমস্ত দেশে ওই মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে সেই তালিকায় স্টেজ টু-তে রয়েছে ভারত। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) এর মতে, এর অর্থ এই যে বর্তমানে এই ভাইরাসের কোনও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সম্প্রদায়ভিত্তিক সংক্রমণ নেই।
করোনা আতঙ্ক? বিজেপি কর্মীদের মিছিল করতে বারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
স্টেজ টু-তে থাকার মানে কী?
“আমরা জানতে পেরেছি যে আমরা ২ য় পর্যায়ে আছি। অর্থাৎ আমরা এখন তৃতীয় পর্যায়ে নেই। তৃতীয় পর্যায়টি হচ্ছে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সম্প্রদায়ভিত্তিক সংক্রমণ, অর্থাৎ কোনও একটি বিশেষ সম্প্রদায় থেকে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। যা আমাদের দেশে হবে না বলেই আমরা আশা করেছিলাম", বলেন আইসিএমআরের মহানির্দেশক বলরাম ভার্গব।
করোনার প্রতিষেধক গোমূত্র? "চরণামৃত পানে কোনও ক্ষতি নেই": সওয়াল দিলীপ ঘোষের
"আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলির উপর কতটা নজর রাখতে পারছি বা কতটা সেখান থেকে বহিরাগতদের দেশে প্রবেশ রুখতে পারছি তার উপরেও নির্ভর করছে অনেক কিছু। এই বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে আমরা এখনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সম্প্রদায়ের সংক্রমণ ঘটবে না", একথাও বলেন তিনি।
করোনা সংক্রমণের ৪টি পর্যায়ের ব্যাখ্যা জেনে নিন এখানে:
স্টেজ ওয়ান: সংক্রামিত দেশগুলি থেকে এই ধরণের রোগী দেশে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে যারা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন কেবল তাঁদেরই ইতিবাচক পরীক্ষা করানো হয়।
স্টেজ টু: যখন আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ হয়। উদাহরণস্বরূপ, যারা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন তাদের আত্মীয় বা পরিচিতজনের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।
স্থানীয় সংক্রমণে কম লোক আক্রান্ত হয়। কেননা ততক্ষণে ভাইরাসটির উৎস জানা যায় ফলে এর সঙ্গে লড়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
স্টেজ থ্রি: যখন এই রোগ কোনও সম্প্রদায়গত ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং বৃহত্তর অঞ্চলের মানুষ সংক্রামিত হয়। সম্প্রদায়ের সংক্রমণ তখনই হয় যখন কোনও রোগী কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা সত্ত্বেও বা আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে কোনও একটি দেশে সফর না করা সত্ত্বেও তাঁর শরীরে ওই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে।
এই পর্যায়ে, সংক্রামিতদের শরীরে কোথা থেকে এই ভাইরাস এসেছে তা সনাক্ত করা সম্ভব হয় না। যেমন, ইতালি এবং স্পেন রয়েছে স্টেজ থ্রিতে।
স্টেজ ফোর: এটা সবচেয়ে খারাপ পর্যায়, যখন এই রোগটি কোনও স্পষ্ট কারণ ছাড়াই মহামারীর আকার ধারণ করে। চিনেও এই ঘটনাই ঘটেছে।