Coronavirus: বাড়ির অন্যান্য আলো নিভিয়ে ৯ মিনিট মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) অন্ধকার দূর করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ডাকে সারা দিয়ে দেশজুড়ে বাড়ির অত্যাবশকীয় আলো নিভিয়ে বাড়ির বারান্দা, ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মোমবাতি জ্বালালেন আপামর দেশবাসী। বড় শহরগুলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লকডাউনের (Lockdown) কারণে ঘরবন্দি হয়েছেন সাধারণ মানুষ, এদিন মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক হওয়ার বার্তা দিল ভারত। মানুষকে দেখা যায় বাজি ফাটাতে, হর্ন বাজাতে, এবং ঘন্টা বাজানোর পাশাপাশি দেশের শক্তিপ্রদর্শনের বার্তা দিতে চিৎকার করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করা রাজনীতিবিদদের তালিকায় প্রথম আসেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দিশম পার্টির সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “নরেন্দ্র মোদিজির ডাকে সাড়া দিয়ে, আমার সহনাগরিকদের সঙ্গে আমিও মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালিয়েছি, এবং করোনা ভাইরাসকে পরাস্ত করতে আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি”।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নরেন্দ্র মোদির ডাকে লকডাউনে গৃহবন্দি সাধারণ মানুষ, এবং শুধুমাত্র অত্যবশকীয় পণ্যের দোকান খোলা রয়েছে, রবিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঠেলা গাড়িতে মোমবাতি বিক্রির ছবি ধরা পড়ে।
সংক্রমণ প্রতিরোধে এক মাস আঁতুড়ঘর সিল করে রাখার পরিকল্পনা: স্বাস্থ্য মন্ত্রক
শুক্রবার, সাধারণ মানুষকে বাড়ির আলো নিভিয়ে দিয়ে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মোমবাতি, প্রদীপ হাতে নিয়ে বা মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সবমেতভাবে সামিল হলেন দেশবাসী।
নিজেদের বাড়িতে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালানোর ছবি পোস্ট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।
নিজের বাড়ির বাইরে আো জ্বালান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাডু, একই পথে হাঁটেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত এবং লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু, দাহ করলে ছড়াবে না সংক্রমণ, প্রচারে রাজ্য
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুরোধের পর থেকেই রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে প়ড়ে কারণ, এত মানুষ বাড়ির আলো নিভিয়ে দিলে, বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা হতে পারে। ফলে সেখানে ওভারলোড হতে পারে।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এই নিয়ে বিবৃতিতে বলেন, “সমস্ত হাসপাতাল এবং অন্যান্য জায়গার আলো...জ্বলবে”। তারপরেও যে কোনওরকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করে, কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছিল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ।
সৌভাগ্যবশত, কোনও ব্ল্যাকআউট বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের খবর পাওয়া যায়নি।
দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৫০০ জন, মৃতের সংখ্যা ৮৩। দেশজুড়ে যাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তারজন্য ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত ১.২ মিলিয়ন এবং মৃতের সংখ্যা ৬৬,০০০।
(With input from ANI)