This Article is From Apr 22, 2020

কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে উত্তপ্ত চিঠি বিনিময়, নিয়ম মানার আশ্বাস দিল রাজ্য

Coronavirus Lockdown: রাজ্যের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের নিয়ম কতটা মানা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল

কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে উত্তপ্ত চিঠি বিনিময়, নিয়ম মানার আশ্বাস দিল রাজ্য

West Bengal: কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কনভয়কে এসকর্ট করে কলকাতা পুলিশ (পিটিআই)

হাইলাইটস

  • পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় দল
  • ওই দলের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছে রাজ্য সরকার, ওঠে এমন অভিযোগ
  • পরে যদিও রাজ্যের তরফ থেকে সবরকম কেন্দ্রীয় নির্দেশ মানার আশ্বাস দেওয়া হয়
কলকাতা:

লকডাউনের মধ্যেই (Coronavirus Lockdown) রাজ্য সরকারকে আগাম বার্তা না দিয়ে কেন পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের (West Bengal) মধ্যে মঙ্গলবার দিনভর চলে চাপানউতোর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবের মধ্যে এ বিষয়ে দূরভাষ মারফৎ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় তো হয়ই, কেন্দ্র-রাজ্য চিঠি চালাচালিও হয় বলে খবর। যদিও জানা গেছে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রের দেওয়া সব নির্দেশ মেনে চলা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। রাজ্যের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের নিয়ম (Lockdown Violations)কতটা মানা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতেই রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ​​ভাল্লা রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাকে চিঠিতে ক্ষোভপ্রকাশ করে লেখেন যে, পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে সহযোগিতা করা হচ্ছে না, তাঁদের সঙ্গে আরও সহযোগিতা করা দরকার। এর জবাবে পাল্টা চিঠি দিয়ে মুখ্যসচিব লেখেন যে, সোমবার কলকাতা এবং জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি ঘুরে দেখে কেন্দ্রীয় দল, সেই সময় ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনওরকম "অসহযোগিতা" করা হয়নি।

টালবাহানার পর অবশেষে অনুমতি পেল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

রাজীব সিনহা আরও লেখেন যে, যেহেতু কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আগে থেকে কিছু না জানিয়েই রাজ্যে আসে তাই তাঁদের যথাযথ সহায়তা দেওয়ার জন্যে কোনও নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন ছিল না, যার জন্যেই হয়তো কিছু সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি তিনি চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশ কার্যকর করার "সর্বোচ্চ আশ্বাস" দেন।

তিনি লেখেন, "এটা সত্যি নয় যে কেন্দ্রীয় দলকে (কেন্দ্রীয় আন্তঃমন্ত্রণালয় দল) রাজ্য সরকার কোনও সহযোগিতা করেনি। আসলে যেহেতু ওই দল আমাদের সঙ্গে আগে থেকে কোনও পরামর্শ ছাড়াই রাজ্যে এসে উপস্থিত হয় তাই কোনও যথাযথ সহায়তা দেওয়ার সুযোগ ছিল না আমাদের পক্ষ থেকে। ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল থেকে লকডাউনের যে বিধিনিষেধ জারি থাকার কথা তাইই অনুসরণ করা হচ্ছে রাজ্যে। আর তাছাড়া রাজ্যে আসার পর কেন্দ্রীয় দল কোনও সাহায্যও চায়নি। তাঁরা কলকাতায় বিএসএফ গেস্ট হাউস এবং শিলিগুড়িতে এসএসবি গেস্ট হাউসে ছিলেন"।

চিকিৎসকদের পাশেই আছে সরকার, উপযুক্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন অমিত শাহ

পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের নিয়ম ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে মঙ্গলবার কেন্দ্রের একটি দল (COVID-19 Inspection Team) রাজ্যে এসে পৌঁছয়। কিন্তু কলকাতা সফরের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি পেতে তাঁদের বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ। এমনকী কলকাতা ও জলপাইগুড়িতে দু'টি দলকে পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে। 

এরপর কেন্দ্রীয় দলগুলি দিল্লিকে তাঁদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানালে স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ​​ভল্লা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠিতে লেখেন যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের আদেশ মানতে বাধ্য এবং যদি তা না করা হয় তবে রাজ্যের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার।

.