
বৃদ্ধ গৃহহীন মহিলাকে একটি অস্থায়ী ঝুপড়ির কাছে দেখা যাচ্ছে একটি স্টিলের থালা বাজাতে।
হাইলাইটস
- বৃদ্ধ গৃহহীন মহিলাকে দেখা যাচ্ছে একটি স্টিলের থালা বাজাতে
- প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন: “করোনাভাইরাস নিরাময়ের কোনও প্রতিকার নেই"
- নরেন্দ্র মোদি এই সমর্থনকে ‘বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
করোনাকে ঠেকাতে ভরসা একমাত্র সচেতনতা। বারেবারে এই কথা নানা ভাবে বলতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Prime Minister Narendra Modi)। সোমবার সকালেই এক বৃদ্ধা গৃহহীন মহিলার একটি ভিডিও টুইট করেছেন মোদি। ওই ভিডিও পোস্ট করে সারা দেশের মানুষের কাছে নোবেল করোনাভাইরাস বা COVID-19-এর বিরুদ্ধে সচেতন হয়ে লড়াই করার আবেদন করেছেন তিনি। “আসুন আমরা এই মায়ের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং ঘরে থাকি। তিনি আমাদের এই বার্তাই দিচ্ছেন,” হিন্দিতে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি যে ১১ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটি শেয়ার করেছেন তাতে এক বৃদ্ধ গৃহহীন মহিলাকে একটি অস্থায়ী ঝুপড়ির কাছে দেখা যাচ্ছে একটি স্টিলের থালা বাজাতে। ভিডিওটি গত রবিবারের, যেদিন সারাদেশের কয়েক কোটি মানুষ ‘জনতা কার্ফু' পালন করেন ১৪ ঘন্টার হোম কোয়ারান্টাইন থেকে।
হায়দরাবাদের এই মহিলা সারা দেশের সেই বহু মানুষদের মধ্যেই একজন যারা প্রধানমন্ত্রীর জনতা কার্ফুর আবেদনে সাড়া দেন এবং করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় লড়তে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী বা আরও নানা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত মানুষদের অভিবাদন জানাতে হাততালি দেন, ঘণ্টা বাজান, থালা বাজান। ভিডিওটি তুলেছেন যিনি সেই পার্ধু এখন ওই বৃদ্ধ মহিলার জন্য সাহায্যের নানা ডাক পাচ্ছেন।
आइए इस मां की भावना का आदर करें और घर में रहें। वो हमें यही संदेश दे रही है। https://t.co/z555vu2qvz
— Narendra Modi (@narendramodi) March 24, 2020
বৃহস্পতিবার ২৯ মিনিটের টেলি-ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন: “করোনাভাইরাস নিরাময়ের কোনও প্রতিকার নেই, তাই আমাদের সুস্থ থাকতে হবে। আমাদের ভিড় এড়ানো এবং বাড়িতে থাকার দরকার। সামাজিক দূরত্ব গুরুতর প্রয়োজনীয়। যদি আপনি মনে করেন আপনি যেমন ইচ্ছা ঘোরাফেরা করতে পারেন এবং মনে করেন আপনার কোনও ঝুঁকি নেই, তাহলে ভুল ভাবছেন; আপনি নিজেকে এবং আপনার পরিবারকেই বিপন্ন করছেন।”
রবিবার বিকেল ৫ টায় নাগরিকদের তাদের দরজা, জানালা এবং বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহকারীদের সমর্থন প্রদর্শনের জন্য করতালি, বাসন বাজানো বা ঘণ্টা বাজানোর অনুরোধও করেন তিনি।
রবিবার বিকেলে, ১০ ঘন্টা হোম কোয়ারান্টাইন থাকার পরে, সারা দেশের বহু মানুষ এমনকি অমিতাভ বচ্চনের মতো কিংবদন্তীরাও নিজেদের বাড়ির ব্যালকনিগুলিতে হাজির হন এবং এই দুরূহ সময়ে চিকিত্সক সহ এই করোনা মোকাবিলার লড়াইয়ে জড়িতদের অভিবাদন জানাতে করতালি দেন, ঘণ্টা বাজান। বিকেল ৫ টা নাগাদ শঙ্খের আওয়াজ, কাঁসর ঘণ্টার ধ্বনি এবং করতালিতে মুখরিত হয় দেশ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সমর্থনকে ‘বিজয়' বলে অভিহিত করেছেন। “এটি (করতালি এবং সশব্দ অভিবাদন) ধন্যবাদের শব্দ এবং এটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে বিজয়ের সূচনা। আসুন, আমরা এই সংকল্প গ্রহণ করি এবং দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হই,” টুইট করেন মোদি। তিনি আরও যোগ করেন, “নোবেল করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে দেশ ধন্যবাদ জানিয়েছে।”
১৪ ঘন্টা ব্যাপী জনতা কার্ফুর ডাক আসলে সামাজিক দূরত্ব বাড়ানোর এক পন্থা ছিল। এখনও পর্যন্ত চিকিত্সকরা যা বলছেন, তাতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার এবং ভাইরাসের শৃঙ্খলা ভেঙে ফেলার একমাত্র উপায় নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।