This Article is From Jul 29, 2020

আগে নাম নথিভুক্ত থাকলে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতীকেও ভর্তি নিতে হবে হাসপাতালগুলোকে

"একজন গর্ভবতী মহিলা কোনও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নথিভুক্ত থাকলে, তাঁকে শুধুমাত্র করোনা পজিটিভ বলে ফেরাতে পারবে না হাসপাতালগুলো", নির্দেশ কমিশনের

আগে নাম নথিভুক্ত থাকলে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতীকেও ভর্তি নিতে হবে হাসপাতালগুলোকে

West Bengal Coronavirus News: ৬০,০০০ এরও বেশি মানুষ এরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে
  • করোনার দোহাই দিয়ে কোনও প্রসূতিকে ফেরাতে পারবে না বেসরকারি হাসপাতালগুলো
  • কড়া নির্দেশিকা জারি করলো রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন
কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গ ক্লিনিকাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন এবার গর্ভবতী মহিলাদের সাহায্যে এগিয়ে গেল। এক কড়া নির্দেশিকায় রাজ্যের (West Bengal) বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে জানানো হয়েছে, যদি কোনও প্রসূতির নাম আগে থেকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নথিভুক্ত থাকে তবে তিনি করোনা (Coronavirus) পজিটিভ হলেও তাঁকে ভর্তি নিতে হবে। এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে কমিশনের কাছে অভিযোগ আসে যে, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রসবের জন্যে আগে থেকে নাম নথিভুক্ত থাকা সত্ত্বেও কোনও গর্ভবতী করোনা পজিটিভ (West Bengal Coronavirus News) হিসাবে ধরা পড়লে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এরপরেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য কমিশন। 

করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে আজ সম্পূর্ণ লকডাউন রাজ্যে, অগাস্টে ৭ দিন

সোমবার কমিশনের তরফ থেকে জারি করা একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, "একজন গর্ভবতী মহিলা ইতিমধ্যেই কোনও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নথিভুক্ত থাকলে, তাঁকে শুধুমাত্র করোনা পজিটিভ বলে ভর্তি না করে ফেরাতে পারবে না হাসপাতালগুলো।"

করোনা সন্দেহে মৃত ব্যক্তির দেহ আধঘণ্টার জন্য দেখতে পাবে পরিবার

পাশাপাশি ওই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, "পরিকাঠামো না থাকায় নিতান্তই যদি কোনও করোনা আক্রান্ত প্রসূতিকে ভর্তি করা না যায় তবে তাঁকে অন্য হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই। সেক্ষেত্রে অন্তত ৩টি বিকল্প দিতে হবে রোগীকে। এক্ষেত্রে যদিও প্রসূতিকেই দিতে হবে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার খরচ।"

এদিকে সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যানে প্রকাশ, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১৩৪ জন। তবে, অত্যন্ত আশার খবর হল এই সময়ের মধ্যে সেরেও উঠেছেন ২১০৫ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ৬২,৯৬৪, সেখানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা মাত্র ১৯,৪৯৩ জন। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২,০২২ জন। ফলে রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থতার হার বেড়ে এখন ৬৬.৭৪% তে পৌঁছেছে।

পশ্চিমবঙ্গে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে আগেই জানায় সরকার। সেই সংক্রমণের চেন ভেঙে দিতেই রাজ্যে সাপ্তাহিক লকডাউনের ঘোষণা করা হয়। আগের সপ্তাহে কড়া হাতে লকডাউন নিয়ন্ত্রণ করেছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কিছুটা হলেও রাশ টানা যাচ্ছে করোনা সংক্রমণে।

পূর্ব ঘোষণা মতোই আজ বুধবার গোটা রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন চলছে। এছাড়াও মঙ্গলবারই রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে আগামী অগাস্ট মাসে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি থাকবে ৫,৮,১৬,১৭,২৩,২৪,৩১ অগাস্ট।

.