This Article is From Apr 27, 2020

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু...

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক জল্পনার পরে বৈঠকে অংশ নেন। প্রাথমিক ভাবে তাঁর বৈঠকে না থাকার কথাই জানা গিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু...

Coronavirus Lockdown: বৈঠকে থাকা নিয়ে কেরল ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিড়ম্বনা।

হাইলাইটস

  • সোমবার লকডাউন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী
  • বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন
  • বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক জল্পনার পরে বৈঠকে যোগ দেন
নয়াদিল্লি:

দেশব্যাপী লকডাউনের (Lockdown) পরিস্থিতি থেকে কী করে বেরনো যায়, এই নিয়ে রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। অনেক টালবাহানার পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উপস্থিত থাকেন আজকের বৈঠকে। প্রাথমিক ভাবে যদিও শোনা গিয়েছিল তিনি এই বৈঠকে থাকবেন না। তাঁর পরিবর্তে বৈঠকে থাকতে পারেন মুখ্য সচিব। এদিনের বৈঠকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীই কেবল উপস্থিত ছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতর থেকে জানানো হয়, তাঁকে বৈঠকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। আগের বৈঠকে অবশ্য তিনি তাঁর প্রস্তাব পেশ করেন কেরলের প্রাথমিক চাহিদার বিষয়ে। সোমবারের বৈঠকে তাঁর পরিবর্তে টম জোস উপস্থিত ছিলেন।

লকডাউনে ভিনরাজ্যে গিয়ে আটকে পড়া মানুষদের সাহায্য করবে সরকার, টুইট মুখ্যমন্ত্রীর

তবে তাঁর দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, তিনি চিঠি লিখে তাঁর পরামর্শ জানাবেন। সূত্রানুসারে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে ফোন করে বৈঠকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান।

নামপ্রকাশ না করা এক সরকারি সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানায়, সোমবার বৈঠকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তব্য রাখতে দেওয়ার কোনও সময় রাখা হয়নি। সেই কারণে মুখ্য সচিব বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

কোভিড-১৯ হাসপাতালে ডাঁই করা আবর্জনার স্তূপ! রোগীর তোলা ভিডিওয় নড়ল টনক

এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক জল্পনার পরে বৈঠকে অংশ নেন। প্রাথমিক ভাবে তাঁর বৈঠকে না থাকার কথাই জানা গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল মুখ্য সচিবকেই হয়তো তিনি বৈঠকে অংশ নিতে বলবেন।

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী কার্যত হতাশ ছিলেন। কেননা তাঁর মতে, বড় রাজ্যগুলিকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর মতে এই বৈঠক যেহেতু লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে, তাই বড় রাজ্যগুলিক সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করা উচিত।

সূত্র আরও জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলার স্লট দেওয়া হয়নি। তবুও তিনি সিদ্ধান্ত নেন বৈঠকটি দেখার ব্যাপারে। এবং কথা বলতে চা‌ন সুযোগ পেলে।

দেশব্যাপী লকডাউন ১৫ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছিল। দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে এমনই দু'টি ভিডিও বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

.