This Article is From Apr 07, 2020

Coronavirus : করোনার টার্গেটে এবার না-মানুষরা! ঘরের পোষা কুকুর সহ সব পোষ্যদের আগলে রাখার পরামর্শ কেন্দ্রের

বাড়িতে পোষা কুকুর বা বিড়াল আছে? বা শখ করে পাখি বা অন্য প্রাণী পুষে রেখেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে তবে এবার সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি

Coronavirus : করোনার টার্গেটে এবার না-মানুষরা! ঘরের পোষা কুকুর সহ সব পোষ্যদের আগলে রাখার পরামর্শ কেন্দ্রের

Coronavirus : যাঁরা শখ করে বাড়িতে পোষ্য রাখেন তাঁদের এখন অতিরিক্ত আরও কিছু নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে

হাইলাইটস

  • লকডাউনের নির্দেশিকা জারি রয়েছে দেশে
  • সময় এসেছে আরও সতর্ক হওয়ার
  • যাঁদের বাড়িতে পোষা প্রাণী রয়েছে তাঁদের ঘরেও সজাগ থাকা অত্যন্ত জরুরি
নিউ দিল্লি:

দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) সংক্রমণ যতটা কম করা যায় তার জন্যে সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। এমনিতেই লকডাউনের নির্দেশিকা জারি রয়েছে দেশে। তার মধ্যে আবার যাঁরা শখ করে বাড়িতে পোষ্য রাখেন তাঁদের এখন অতিরিক্ত আরও কিছু নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনায় দেখা গেছে যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ  ঘটাচ্ছে পশু-পাখীর শরীরেও। ফলে সময় এসেছে আরও সতর্ক হওয়ার। কেন্দ্রীয়  সরকারের জারি করা একটি নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে COVID-19 এর সংক্রমণ যেসব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে যদি  কুকুর (Dog), বিড়াল (Cat), বাঁদর বা অন্য কোনও পাখি বা প্রাণী যায় তবে তারাও এই মারণ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সুতরাং, সংক্রামিত অঞ্চল থেকেদূ রে সরিয়ে রাখুন আপনার আদরের পোষ্যটিকে। আরও বলা হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে এড়িয়ে চলুন বিশেষত কুকুর এবং বাঁদরের সংস্পর্শ। আরও বলা হয়েছে, সম্ভব হলে চড়ুই পাখিদেরও আটকান। 

সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে, একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি কী-কী ভাবে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে তা খতিয়ে দেখা হয়, আর তাতেই উঠে আসছে পশু-প্রাণীদের দ্বারাও সংক্রমণের আশঙ্কা। যাঁদের বাড়িতে পোষা প্রাণী রয়েছে তাঁদের ঘরেও সজাগ থাকা অত্যন্ত জরুরি, বলছে সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত এদেশে কোনও অন্য প্রাণীর শরীরে এই রোগ মানুষের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়েছে তার প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু বিদেশে ঘটেছে এই ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে তাই যাঁরা বাড়িতে  কুকুর, বিড়াল বা অন্য কোনও প্রাণী পোষেন, সেই সব না-মানুষদের নিয়েও এবার সতর্ক হওয়া দরকার। তারা বাইরে পড়ে থাকা কোনও খাবারে মুখ দিচ্ছে কিনা সেদিকেও নজর রাখতে হবে। বিশেষত  চড়ুই পাখিদের থেকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

এছাড়াও, স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে কোয়ারান্টাইন সেন্টারগুলোতে যাতে কোনওভাবেই বাইরের কোনও ব্যক্তি বা অন্য প্রাণী চলাচল করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এটাও বলা হয়েছে যে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে যাঁরা আছেন তাঁদের খাদ্য সামগ্রী বিল্ডিং চত্বরে চারপাশে ছুঁড়ে ফেলা উচিত নয়, কারণ এটি খেলে চড়ুই বা অন্য পাখির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এখানে কর্মরত সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি পিপিই কিট ব্যবহার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কোনওভাবেই যাতে করোনার সংক্রমণ দেশের জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য এবং ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অঞ্চলগুলোতে না ছড়ায় সে ব্যাপারে সরকার সাবধানতা অবলম্বন করার জন্যেও নির্দেশিকা জারি করেছে। 

কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলোকে যে নির্দেশ দিয়েছে সেগুলো হল: 

  • জাতীয় উদ্যান এবং পাখিরালয় বা পশুদের সংরক্ষিত এলাকায় মানুষের চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা উচিত।
  • পশু চিকিৎসক সহ ফিল্ড ম্যানেজারদের সঙ্গে নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা উচিত। চব্বিশ ঘণ্টা  পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে পশু-প্রাণীদের। 
  • বন্য প্রাণীদের জরুরি চিকিৎসার জন্যে প্রয়োজনীয় সমস্ত সুবিধা সরবরাহ করতে হবে।
  • জাতীয় উদ্যান এবং পাখিরালয় ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অঞ্চলগুলো ঘিরে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকা অনুসরণ করুন।
  • করোনার সংক্রমণ রোধ করতে আরও সতর্কতা অবলম্বনের জন্যে এই পদক্ষেপগুলোও নেওয়া জরুরি।
  • দেশের সমস্ত রাজ্যগুলোকে এই নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে এবং সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ জানাতে হবে কেন্দ্রকে, একথাও বলা হয়েছে।
.