২৭ মে পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত ১,৪৭,২৮৪ জন।
নয়াদিল্লি: আগামী ৩১ মে শেষ হতে চলেছে লকডাউন ৪ (Lockdown 4)। তার আগে গত ৬৪ দিনের লকডাউনের (Lockdown) একটি সম্পূর্ণ পর্যালোচনায় ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১ জুন থেকে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাকেই এখন চূড়ান্ত রূপ দেওয়া চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এক বর্ষীয়ান আধিকারিক NDTV-কে জানাচ্ছেন, ‘‘গত বেশ কয়েক দিন ধরে এখানে টানা পর্যালোচনা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হতে চলেছে যে, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন চালিয়ে যাওয়া হবে নাকি রাজ্যগুলিকে চূড়ান্ত করতে হবে ১ জুন থেকে তারা কীভাবে এগিয়ে যেতে চায়।'' তাঁর মতে, সিদ্ধান্তটি নেওয়া হবে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পিএমওর প্রাপ্ত তথ্য এবং প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে। এছাড়াও কেন্দ্র পৃথক ভাবে যে তথ্য পেয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ১২ দিনের তথ্য দেখে চিহ্নিত কেন্দ্র। কেননা এই ক'দিনে কোভিড পজিটিভ ও কোয়ারান্টাইন— উভয় ক্ষেত্রেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্র এটাও বুঝতে পারছে যে, লকডাউন চিরকালের জন্য চালু রাখা সম্ভব নয়।
আর একটা বিষয়েও উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। কোভিড-১৯ মোকাবিলা তাদের কাছে আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে কারণ বহু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা কেবল সমালোচনা করছেন। পাশাপাশি তাঁদের চাপে কেন্দ্রকে কয়েকবার তাদের অবস্থান বদলাতে হয়েছে। বহুবার প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্যগুলি।
সরকার যে তথ্য খতিয়ে দেখছে তা দেখেছে NDTV-ও। এবং সেই তথ্য থেকে পরিষ্কার, কেন লকডাউন তুলতে এত দ্বিধাগ্রস্ত সরকার। তথ্যানুসারে, ২৭ মে পর্যন্ত ১,৪৭,২৮৪ জন করোনা আক্রান্ত দেশে। কিন্তু তার চেয়েও বড় চিন্তা ২২,৮১,২৫০ জনকে নিয়ে, যাঁরা বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন। ১৪ মে-তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৭,১৫২। কোয়ারান্টাইনে ছিলেন ১১,৯৫,৬৪৫ জন।
একজন কেন্দ্রীয় আধিকারিক জানাচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের আন্দোলন, আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা চালু হওয়ায় উভয় সংখ্যাই বেড়েছে।