This Article is From May 17, 2018

দড়ি টানাটানির চক্করে কর্নাটকে কংগ্রেস হারাল দুজন বিধায়ককে, তৃতীয়জনকে নিয়ে ঝুঁকির আভাস

দুজন নিখোঁজ বিধায়ক কংগ্রেস নেতৃত্বের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন

দড়ি টানাটানির চক্করে কর্নাটকে কংগ্রেস হারাল দুজন বিধায়ককে, তৃতীয়জনকে নিয়ে ঝুঁকির আভাস

কর্নাটক নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনটি থেকেই আনন্দ সিংহ কংগ্রেসের বিধায়ক।

বেঙ্গালুরু: এই সপ্তাহের শুরুতেই পরিষ্কার বুঝতে পারা যাচ্ছিল যে, কর্নাটকের বিধাসভা নিয়ে একটা দড়ি টানাটানি শুরু হতে চলেছে। এমতাবস্থায় দুজন নিখোঁজ বিধায়ক কংগ্রেস নেতৃত্বের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন।  
সূত্র জানিয়েছে, কংগ্রেস তার বিধায়কদের একটি অ্যাপ ইনস্টল করার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে যে কোনও কলকে সহজেই রেকর্ড অথবা ট্র্যাক করা যায়।
52 বছরের আনন্দ সিংহ  মঙ্গলবার কর্নাটক নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর দিনটি থেকেই বিধায়ক। 224 সদস্যের বিধানসভায় যে 78 জন কংগ্রেস বিধায়ক রয়েছেন, তিনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
জেডিএস নেতা কুমারস্বামী আজ অভিযোগ করেন যে, আনন্দ সিংহের উপর বিজেপির থেকে চাপ আসছে।
তিনি বলেন, “মোদি সরকার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমি জানি, ওরা বিধায়কদের হুমকি দিচ্ছে। কংগ্রেসের একজন বিধায়ককে আনন্দ সিংহ ফোন করে জানান, ‘ওরা ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)’র ‘জুজু’ দেখাচ্ছে। ইডিতে আমার নামে একটা মামলা চলছিল। ওরা আমাকে শেষ করে দেবে। আমি খুব দুঃখিত, নিজেকে বাঁচাতেই হবে আমার’”। আনন্দ সিংহকে উদ্ধৃত করে এ কথা বলেন কুমারস্বামী। তিনি অভিযোগ করেন, 100 কোটি টাকা এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রক দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হচ্ছিল তাঁর দলের বিধায়কদের কাছে।
কংগ্রেস এবং জেডিএস 116 জন বিধায়ককে নিয়ে শাসনভারের দাবি জানাতে থাকেন। কিন্তু, রাজ্যপাল গতকাল সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ জানান 104টি আসন পাওয়া বিজেপিকে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার থেকে যারা এখনও পিছিয়ে আছে আটটি আসনে।
আনন্দ সিংহ লৌহ আকরিকের অবৈধ পরিবহণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন 2013 সালে। দু’বছর বাদে জামিনে ছাড়া পান।
আনন্দ সিংহ আগে বিজেপিতেই ছিলেন। এমনকি কর্নাটকের গত বিজেপি সরকারের আমলে উনি মন্ত্রীও ছিলেন। তিনি গত জানুয়ারি মাসে কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি রেড্ডি ব্রাদার্স এবং তাঁদের আত্মীয় বি শ্রীরামুলুর খুব ঘনিষ্ঠ।
“একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা 100 শতাংশ নিশ্চিত। সমমনস্ক বিধায়কদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি”। শ্রীরামুলু এনডিটিভিকে বলেন।
নিজের বিধায়কদের ‘রক্ষা’ করার স্বার্থে কংগ্রেস একটি বাস ভাড়া করে সমস্ত বিধায়ককে সেই বাসে করে নিয়ে গিয়ে বেঙ্গালুরুর কাছাকাছি ঈগলটন রিসর্টে রেখে দিয়েছে।
কংগ্রেসের আরেক বিধায়ক, প্রতাপগৌড়া পাটিল, গত রাতে ওই বাসটিতে ছিলেন না।
63 বছর বয়সী পাটিল নিজেকে ‘পরিবেশবিদ’ বলে সম্বোধন করতে পছন্দ করেন। কর্নাটকের গত বিধানসভা নির্বাচনের ‘দরিদ্রতম’ বিধায়ক ছিলেন তিনি।
গতকাল সকালে যখন সমস্ত বিধায়ককে একটি তালিকায় নিজেদের নাম সই করতে হচ্ছিল, তখনও গুনতির সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তারপর থেকে আর তাঁর কোনও খোঁজ নেই।
আরেকজন বিধায়ক আর শঙ্কর গত দু'দিনে এত দ্রুতগতিতে এতবার যাচ্ছেন আর আসছেন যে,'কর্নাটক'-এর ইংরেজি বানানটা লিখতেও বোধহয় তার থেকে বেশি সময় লাগবে।

.