This Article is From Jun 20, 2020

সর্বদল বৈঠকের ঠিক একদিন পরেই ফের মোদিকে ২টি প্রশ্ন করলেন রাহুল গান্ধি

India-China Border Problem: শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সর্বদল বৈঠকের ঠিক একদিন পরেই ফের মোদিকে ২টি প্রশ্ন করলেন রাহুল গান্ধি

Ladakh face-off: টুইট করে প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্দেশে ২টি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন রাহুল গান্ধি

হাইলাইটস

  • ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধি
  • শনিবার সকালে টুইটে দুটি চোখা চোখা প্রশ্ন ছুঁড়লেন তিনি
  • ভারতীয় সেনাদের এই পরিণতির জন্যে দায়ী কে? আগেও প্রশ্ন তোলেন রাহুল
নয়া দিল্লি:

লাদাখে ভারত-চীন সংঘর্ষ (India-China Border Problem) নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় যে সংঘর্ষ হয় তাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা মারা যান। এবার সেই (Ladakh) প্রসঙ্গ নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে ফের একবার আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধি। কংগ্রেসের ওই সাংসদ (Rahul Gandhi) টুইট করে দুটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তাঁর দিকে। চিনের সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এই অভিযোগও করেন তিনি। কেরলের ওয়ানাড কেন্দ্রের সাংসদ টুইটে লেখেন, "প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ভূখণ্ডের বিনিময়ে চিনা আগ্রাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। ওই জায়গাটি যদি চিনেরই ছিল তবে: ১. আমাদের সেনাদের কেন হত্যা করা হয়েছিল? ২. তাঁদের ঠিক কোথায় হত্যা করা হয়েছিল?" 

"গালওয়ানে সেনাদের বলিদান বৃথা যাবে না", বললেন বায়ুসেনা প্রধান

শুক্রবার, প্রধানমন্ত্রী মোদি সর্বদলীয় বৈঠকে বলেছিলেন: "ভারতীয় সীমান্তের ভিতরে কেউ ঢুকতে পারেনি, কোনও পোস্টও দখল করতে পারেনি তারা। ভারত শান্তি ও বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চাইলেও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার বিষয়টি সবচেয়ে আগে থাকবে"।

তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি-তে চিন যেভাবে আচরণ করেছে তাতে গোটা দেশ যে আহত ও ক্ষুব্ধ, একথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি। যে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন তাঁদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "ভারত মাতার দিকে যারা নজর দিয়েছিল তাদের শিক্ষা দিয়ে তবেই আমাদের ২০ জন বীর জওয়ান লাদাখে শহিদ হয়েছিলেন, তার আগে নয়"।

ভারতই "জিতবে":লাদাখ সংঘর্ষ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের পর বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও। সর্বদলীয় বৈঠকে অবশ্য সব বিরোধী দলের নেতারাই চিনা আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় সরকারের সঙ্গে একমত হন।

তবে লাদাখ সংঘর্ষের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দেশ তথা দেশের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের যা জানিয়েছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট নন সনিয়া। সর্বদলীয় বৈঠক শেষে কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, "সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় হবে। তাহলেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নিজেদের এলাকায় ফিরে যাবে চিন সেনা। বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে। তবে এই চরম মুহূর্তে আমরা এখনও অনেক বিষয়ে অন্ধকারে"।  বৈঠকের পর তিনি কয়েকটি প্রশ্নও তোলেন। "ঠিক কত তারিখে লাদাখে অনুপ্রবেশ করেছিল চিনা সেনা? কখন এই চিনা আগ্রাসনের ব্যাপারে জানতে পারে কেন্দ্র? সেই তারিখটা কি ৫ মে ছিল? যেমনটা সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে। না, তারও আগে? সরকারের কাছে কোনও উপগ্রহ চিত্র কি ছিল না?", এই প্রশ্নগুলোই ছুঁড়ে দেন সনিয়া।

কংগ্রেস সভানেত্রীর আরও প্রশ্ন, "আমাদের গোয়েন্দাদের কাছে কি এলএসি বরাবর কোনও চিনা আগ্রাসনের খবর ছিল না? সামরিক সূত্র এই আগ্রাসন আর বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারটি জানতো না? এক্ষেত্রে কি তবে গোয়েন্দাদেরই ব্যর্থতা ধরে নিতে হবে?"

.