This Article is From Mar 28, 2019

স্কুলের মধ্যে এক পড়ুয়াকে পিটিয়ে মারল সিনিয়ররা, ক্যাম্পাসেই দেহ পুঁতে দিল কর্তৃপক্ষ

পুলিশ জানায়, বিষয়টি সম্বন্ধে সকলকে অন্ধকারে রেখে সবার অলক্ষ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই কিশোরের মৃতদেহ স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতরেই পুঁতে দেয়।

স্কুলের মধ্যে এক পড়ুয়াকে পিটিয়ে মারল সিনিয়ররা, ক্যাম্পাসেই দেহ পুঁতে দিল কর্তৃপক্ষ

ক্রিকেট ব্যাট ও উইকেট দিয়ে মারা হয় ওই ১২ বছরের ছাত্রটিকে।

হাইলাইটস

  • ক্রিকেট ব্যাট ও উইকেট দিয়ে মারা হয় ওই ১২ বছরের ছাত্রকে
  • তার বাবা-মা থাকে হাপুরে, ছেলের মৃত্যুর খবর তাঁদের জানানো হয়নি প্রথমে
  • মঙ্গলবার সমাধি খুঁড়ে ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ
দেরাদুন:

ক্লাস সেভেনে পড়া এক ছাত্র। তার ওপর প্রথমে অত্যাচার তারপর নির্মমভাবে মারধর করে মেরেই ফেলা হল। ছাত্রটিকে মেরে ফেলল তার স্কুলের সিনিয়ররাই। এই ভয়ঙ্কর অপরাধের কথাটি পুলিশে জানানোর বদলে এমনকি ছাত্রটির পরিবারকেও জানানোর বদলে স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতরেই মাটিতে পুঁতে দিল তার দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দেরাদুনের একটি বোর্ডিং স্কুলে। ওই স্কুল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের হাপুর বলে একটি স্থানে বসবাস করে ওই ছাত্রের বাবা-মা। তাঁদের ১২ বছরের সন্তানের সঙ্গে যে এমন ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তা নিয়ে টানা একটা দিন তাঁদের কোনও ধারণাই ছিল না। জানতেনই না তাঁরা ঘটনাটির কথা। ঘটনাটি ঘটে গত ১০ মার্চ। উত্তরাখণ্ডের শিশুসুরক্ষা কমিশন হস্তক্ষেপ করার পর তা সামনে আসে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান দেরাদুনের পদস্থ পুলিশ কর্তা নিবেদিতা কুকরেতি।

জানা গিয়েছে, স্কুল থেকে একটি জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের। সেখানেই কোনও কোনও পড়ুয়া অভিযোগ তোলে যে, তাদের থেকে বিস্কুট চুরি করে নিয়েছে ওই ১২ বছরের কিশোর। তার শাস্তিস্বরূপ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় যে, তারা কেউই ওই স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে পারবে না।

নিজের অর্ডার করা খাবারে মরা ইঁদুর মিশিয়ে দিলেন এই ক্রেতা, কিন্তু কেন?

‘ওই কিশোরটি বিস্কুট চুরি করা সত্ত্বেও তাদের সকলকে কেন স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতর শাস্তিস্বরূপ থাকতে হবে'- এই অভিযোগে বেশ কয়েকঘন্টা ধরে নির্মমভাবে ক্রিকেট ব্যাট ও উইকেট দিয়ে মারা হয় ওই ১২ বছরের ছাত্রটিকে। প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ‘মৃত' বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, বিষয়টি সম্বন্ধে সকলকে অন্ধকারে রেখে সবার অলক্ষ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই কিশোরের মৃতদেহ স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতরেই পুঁতে দেয়।

মঙ্গলবার ওই সমাধি খুঁড়ে তার দেহ বের করেছে পুলিশ। দেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

মস্তিকের রক্তক্ষরণের জন্যই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্কুলের ম্যানেজার, ওয়ার্ডেন, শারীরশিক্ষার শিক্ষক এবং দুজন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

.