This Article is From Dec 13, 2019

রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেল নাগরিকত্ব বিল, পরিণত হল আইনে

Citizenship (Amendment) Bill: সোমবার লোকসভা এবং বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেল নাগরিকত্ব বিল, পরিণত হল আইনে

President Ram Nath Kovind: রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলায় বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নাগরিকত্ব বিলটি আইনে পরিণত হয়

হাইলাইটস

  • রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল
  • ফলে বৃহস্পতিবারই আইনে পরিণত হল বিলটি
  • সোমবার লোকসভা এবং বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয় বিলটি
নয়াদিল্লি:

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯-এ (Citizenship Amendment Bill) সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind), ফলে বিলটি আইনে পরিণত হল। এই আইনে তিনটি প্রতিবেশী দেশের অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তবে মুসলিমদের নয়। সরকারি বিজ্ঞপ্তির পর, বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে বিলটি কার্যকর হয়। আইনানুযায়ী, ২০১৪-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যে সমস্ত অ-মুসলিমরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে ভাবা হবে না, বরং তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সোমবার বিলটি লোকসভায় এবং বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয়।

নরেন্দ্র মোদি সরকারের কথা অনুযায়ী, নাগরিকত্ব বিলটি প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে আশ্রয় নেওয়া সংখ্যালঘুদের প্রতিরক্ষার জন্যেই আনা হয়েছে।

‘‘আপনাদের সেবক মোদিকে বিশ্বাস করুন'': উত্তর-পূর্বের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আর্জি

যদিও এই বিলটি নিয়ে উত্তর-পূর্বে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে । বৃহস্পতিবার অসমে বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় । বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে দু'জন মারা যায়। পাশ্ববর্তী রাজ্য মেঘালয়ের কিছু অংশেও বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে, ফলে সেখানেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় কারফিউ জারি করা হয় বলে জানিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক।

বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন জেলা হওয়ায় অসমের বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই আইনটি লাগু হলে অন্য দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা সহজেই এ দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন, আর সংকটে পড়বেন এ দেশের আদি বাসিন্দারা।

পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির যুক্তি এই যে, নতুন আইনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হ'ল এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিক-সুরক্ষা না দেওয়ায় লঙ্ঘিত হবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান।

"আপনাদের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না", নাগরিকত্ব বিল বিষয়ে অসমকে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

এদিকে অসমের বিক্ষোভের মধ্যেই টুইট করে প্রধানমন্ত্রী মোদি আশ্বস্ত করেন যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই, "আপনাদের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না"। অসমের জনগণের অধিকার রক্ষায় কেন্দ্র সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বলেন প্রধানমন্ত্রী।মোদি টুইট করেন, "কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমি সংবিধান অনুসারে অসমবাসীর রাজনৈতিক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ভূমি সংক্রান্ত অধিকারগুলিকে ৬ নম্বর ক্লজ অনুযায়ী রক্ষা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

সরকার বলেছে যে নতুন আইনটি জাতীয় নাগরিক নিবন্ধিকরণ মেনেই হবে, যার অর্থ মুসলমানদের অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে তাঁরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ,এই তিনটি দেশের শরণার্থী নন, তাঁরা ভারতের আদি বাসিন্দা ছিলেন। বিপরীতে আইনে তালিকাভুক্ত অন্য ধর্মের সদস্যদের নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ দেওয়া হবে।

.