This Article is From Jan 13, 2020

রাজ্যে নাগরিকত্ব আইনের জন্য ৩২,০০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

তিনদিন আগে গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি লাগু করা হয়

CAA: শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, এটা নিয়ে কাজ চলছে, আমরা সংখ্যাটা বাড়াব (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে (Citizenship Amendment) কেন্দ্র দেশজুড়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভের ঝডড় উঠেছে, তারমধ্যেই যে সমস্ত ব্যক্তি এই আইনের আওতায় ভারতীয় নাগরিকত্ব চান, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh government) । রাজ্যের ২১ জেলায় ৩২,০০০ মানুষকে এখনও পর্যন্ত ৩২,০০০ মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। তবে সেই সমস্ত মানুষদের চিহ্নিত করতে কী পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে তা জানানো হয়নি। তিনদিন আগে গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি লাগু করা হয়,যদিও এখনও পর্যন্ত এটি কার্যকর করার আইন তৈরি হয়নি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের শ্রীকান্ত শর্মা NDTV কে বলেন, “এটা নিয়ে আমরা তাড়াহুড়ো করছি না। আবরা সবেমাত্র শুরু করেছি। একবার এটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে, আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, তাই না”?

"৫ জন সমালোচক নির্বাচন করুন ...": নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদিকে পরামর্শ চিদাম্বরমের

তিনি বলেন, “এটা নিয়ে কাজ চলছে, আমরা সংখ্যাটা বাড়াব। সমস্ত জেলাশাসককে সমীক্ষা করতে বলা হয়েছে এবং তালিকায় নাম যোগ করতে বলা হয়েছে। আমরা এই তালিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও পাঠাচ্ছি”।

এখনও পর্যন্ত যাদের চিহ্নিত করা হয়ছে, তারা উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের বাসিন্দা, এই জেলাটি উত্তরাখণ্ড সংলগ্ন এবং নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকা।

শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তা বৈভব শ্রীবাস্তব জানান, বাংলাদেশ এবং তার আগে পূর্ব পাকিস্তান থেকে যে ৩৭,০০০ শরণার্থী এদেশে এসেছিলেন, তাঁদের “প্রাথমিক সমীক্ষায়” তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের নাম রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে।

বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, “প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে জানা গিয়েছে, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে তাঁরা দেশ ছেড়ে পিলভিটে এসেছিলেন”।

"সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে উত্তরপ্রদেশের মতোই গুলি করে মারা উচিত": দিলীপ ঘোষ

তবে এই অমিল নিয়ে অবশ্য রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ব্যখ্যা মেলেনি।

পিলভিটের বাসিন্দা কালিবাদ হালদার বলেন, “আমি খুশি যে, রাজ্য সরকার আমাদের দিকটা ভেবে দেখার কথা চিন্তা করেছে। এতে আমাদের মতো মানুষদের আশা জোগাবে”। তিনি জানান, ১৯৬০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে সপরিবারে চলে এসেছিলেন তাঁরা, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে ১৯৮৪ সালে তাঁরা পিলভিটে আসেন।

নয়া আইনটিকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি হিংসাত্মক বিক্ষোভ হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। গতমাসে, সে রাজ্যে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩০০ জনেরও বেশী পুলিশকর্মী। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দেন, এই আইন প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই।

দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও দেখুন: 

এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে নাগরিকত্ব পেতে ধর্মকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশে সংখ্যালঘু, যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে এদেশে চলে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে এই আইনে। সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক এবং তা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী।

.